কোভিডের ত্রাস কেটে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু কোভিডের প্রভাব কি আদৌ কেটেছে? শরীরের উপর কোভিড যে ছাপ ফেলেছিল, সেই ছাপ কি সবাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন? এমনই প্রশ্নের উ♔ত্তর খোঁজার চেষ্টা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। যে উত্তর তাঁরা পেলেন, সেটি বহু মানুষের জন্যই খুব একটি আশাব্যঞ্জক নয়। জানা গেল, কোভিডের প্রভাবে কারও কারও বয়স ’১০ বছর’ বেড়ে গিয়েছে। কী কী লক্ষণ থেকে এটি বোঝা সম্ভব?
সম্প্๊রতি কিংস কলেজের চিকিৎসাবিজ্ঞান বিভাগের বিজ্ঞানীরা লং কোভিড বা কোভিডের সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, কোভিড বহু মানুষের মস্তিষ্কের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এই সেই প্রভাব হয়তো সারা জীবনেও কাটবে না। কী এই প্রভাব?
কোভিড সংক্রমণ যখন চরম আকার নিয়েছিল, তখন একটি কথার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত হয়েছিলেন। সেটি হল ‘ব্রেন ফগ’। অর্থাৎ কোভিডের কারণে মস্তিষ্ক ঠিক করে কাজ না করা। এটি 😼হয়তো প্রাণঘাতী নয়, কিন্তু এর ফলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা রীতিমতো হ্রাস পাচ্ছিল। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, এই জাতীয় ব্রেন ফগের প্রভাব কাটতে বেশ কয়েক মাস থেকে বছর লেগে যেতে পারে। এই সব ঘটনা ঘটার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় বছর খানেক। এখন এই লং কোভিডের কারণে কী অবস্থায় রয়েছে ব্রেন ফগ, সেটি নিয়েই গবেষণা করছিলেন কিংস কলেজের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দেখতে পেয়েছেন, কারও কারও ক্ষেত্রে এই প্রভাব সারা জীবন পর্যন্ত থেকে যেতে পারে।
কী হয় এই ব্রেন ফগ থেকে? এটির ফলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা এবং ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগের মাত্র হু হু করে কমতে থাকে। বয়স বাড়লে স্বাভাবিক কারণে এটি হতে থাকে বহু মানুষের। কিন্তু লং কোসভিডের প্রভাবে এটি অল্প বয়সেই হয়ে যাচ্ছে। আর সেটিইꦏ চিন্তায় ফেলেছে বিজ্ঞানীদের। দেখা গিয়েছে, লং কোভিড কারও কারও ক্ষেত্রে আগাম বয়সের প্রভাব🦂 ফেলতে শুরু করছে। অর্থাৎ খুব কম বয়সেই তাঁদের শরীরে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে শুরু করছে। এমনকী কারও কারও ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের বয়স ১০ বছর পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে। যা কোনও ভাবেই আর ফেরানো যাবে না। এমনই উদ্বেগের কথা শুনিয়েছেন তাঁরা। আগামী দিনে এই বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা হলে, বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে ঝানা যাবে, এমনই বলছেন তাঁরা।