আমরা জেগে থাকলেও আমাদের মস্তিষ্ক জেগে থাকে না। আমরা ঘুমোলে তবেই এটি জাগে। আমেরিকায় পরিচালিত একটি গবেষণায় এমনই চমকপ্রদ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বেরিয়ে এসেছে। এই গবেষণাটি প্রকাশ করেছে যে আমরা যখন জেগে থাকি, তখন আমাদের মস্তিষ্কের একটি ছোট অংশ ঘুমিয়ে যায় অর্🥂থাৎ ঘুমাতে যায়। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন এই অংশটি জেগে থাকে। বিজ্ঞানীরা 💦এই নতুন আবিষ্কারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন, যা অনেক রোগকেও বুঝতে সাহায্য করতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন এবং ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয♓়ার বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন যে আমরা যখন জেগে থাকি তখনও আমাদের মস্তিষ্কের খুব ছোট অংশে মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলি হঠাৎ কয়েক মিলিসেকেন্ডের জন্য থেমে যায় এবং আমাদের ঘুমের সময় মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলি হঠাৎ একই জায়গায় চলতে শুরু করে। মস্তিষ্কের ঘুম-জাগরণ চক্র মস্তিষ্কের তরঙ্গের মাধ্যমেই জানা যায়।
এই গবেষণা ঘুম সংক্রান্ত কোন রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে
এই নতুন আবিষ্কারটি অনিয়ন্ত্রিত ঘুমের সঙ্গে সম্পর্কি🌺ত নিউরোডেভেলপমেন্টাল এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগগুলির জন্য আরও ভাল চিকিৎসা খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক কিথ হে♌নজেন বলেছেন, ঘুম-জাগরণ চক্রগুলি আমাদের আচরণের সবচেয়ে বড় নির্ধারক। তাই যদি আমরা না জানতে পারি ঘুম-জাগরণ চক্র আসলে কী, তাহলে এর সমাধানও পাব না। আমরা এ প্রসঙ্গে যত বেশি বুঝতে পারব, ততই রোগের সমাধান করতে পারব।
এ প্রসঙ্গে কথা ♐বলতে গিয়ে, বায়োমলিকুলার ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক ডেভিড হোসলার বলেছেন, বিজ্ঞানী হিসাবে, আমরা এটি আবিষ্কার করে অবাক হয়েছি যে আমাদের মস্তিষ্কের বাকি অংশগুলি যখন জেগে থাকে তখন আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ ঘুমিয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: (Chandipura Virus: চাঁদিপুরা ভাইরাস আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছ🦄ে, এর সম্পর্কে কী কী জেনে রাখা﷽ দরকার)
কীভাবে এই সত্যিটা উদঘাটন করেছেন বিজ্ঞানীরা
চার বছরের গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের মস্তিষ্কের ১০টি বিভিন্ন অংশে মস্তিষ্কের🍸 তরঙ্গের ভোল্টেজ পরিমাপ করেছেন এবং প্রচুর পরিমাণে ইলেক্ট্রোফিজিওলজি ডেটা সংগ্রহ করেছেন। বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁরা মাইক্রোসেকেন্ড রেঞ্জ পর্যন্ত স্নায়ু কোষের (নিউরন) একটি ছোট গ্রুপের 🅺কার্যকলাপও পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। একটি কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এই তথ্যটি বিশ্লেষণ করে সবটা জানতে পেরেছেন ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন এবং ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা।