ভারতে প্রতি চার মিনিটে একজন করে মহিলার দেহে ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়ে। রিপোর্🔴ট অন্তত এমনটাই দাবি করছে। আর এই দেশে ব্রেস্ট ক্যানসার হলে তাঁর বেঁচে থাকার সময় খুবই সীমিত কারণ এখনও ভারতে ম্যামোগ্রাফি বা আল্ট্রাসাউন্ডকে মানুষ গুরুত্ব দিতে শেখেনি। রোগীর পরিবার পরিজনরা বোঝেনই না অনেক সময় জিনিসটার গুরুত্ব।
অন্যদিকে, সামাজিক ট্যাবু তো আছেই। স্তনের ক্যানসার সে আবার কী? সেখানে চিকিৎসা? ছিঃ ছিঃ! পরিণাম? মৃত্যু। যতই চিকিৎসা বিজ্ঞান উন্নতি করুক, যতই প্রযুক্তি উন্নতমানের হোক সামাজিক ট্যাবুগুলোর জন্য রোগ জেনেও অনেক সময় সঠিক চি🍌কিৎসা হয় না রোগীর।
কিনꦆ্তু আপনি কি জানেন খুব আর্লি স্টেজেই ব্রেস্ট ক্যানসার চিহ্নিত করা সম্ভব। শুধু আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার বুকে কোনও লাম্প না শক্ত কোনও দলা ভাব আছে কিনা। বুকের পাশাপাশি বগলের আশপাশেও খেয়াল রাখুন। সামাজিক ট্যাবুকে দূরে সরিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে যত্ন নিন। এমনিতেই ভারতে মহিলাদের স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো নি🗹য়ে যথেষ্ট হেলাফেলা করা হয়। আপনিও সেই দলে নাম লেখাবেন না। ঘনঘন স্তন এবং বগলের আশপাশে খেয়াল রাখুন কোনও শক্ত দলা ভাব আছে কিনা। থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।
ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার নেপথ্যে কী কোনও বিশেষ কারণ আছে?
অঙ্কলজিস্ট ডক্টর তানভী সুদ জানান একাধিক কারণে ব্রেস্ট ক্যানসার হতে পারে, তবে মূল যে কারণগুলোর জন্য ব্রেস্ট ক্যানসার হয় সেগুলো হল অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া🀅, নিয়মিত ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত স্ট্রেস নেওয়া, দীর্ঘক্ষণ কাজ করা, ইত্যাদি।
ব্রেস্ট ক্যানসার প্রাথমিক স্টেজে শ♓নাক্ত করার জন্য ডক্টর সুদ বলেন যে নিয়মিত নিজের স্তন পরীক্ষা করুন। স্তনে কোনও রকম অস্বস্তি হলে, বা দলা ভাব লাগলে সতর্ক হন। বুকের দুধে রক্ত আসছে কিনা সে দিকেও নজর রাখুন। বুকের সাইজ হঠাৎ বদলে গেলে, বা ফুলে গেলেও সতর্ক হন। এগুলোর একটাও যদি লক্ষ্য করেন দেরি না করে, ভয় না পেয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। মনে রাখবেন যত দ্রুত রোগ ধরা পড়বে, তত দ্রুত চিকিৎসা শুরু হবে এবং ভালো হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।
নিয়মিত ব্রেস্ট ক্যানসার স্ক্রিনিং করান
কোনও চিকিৎসক যদি আপনাকে ব্রেস্ট স্পেশালিস্ট বা সার্জনকে দেখাতে বলেন এর অর্থ এটা মোটেই নয় যে আপনার সেই রোগ হয়েছে। বুকের নানান সমস্যা নিয়ে এই🥃 চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন কাজ করে আসছেন, ফলে আপনার সমস্যা তাঁরা বুঝতে পারবেন এবং সঠিক চিকিৎসা করতে পারবেন।
ব্রেস্ট ক্যানসারের লক্ষণ খুব প্রাথমিক স্টেজে ধরা পড়ে। কিন্তু অনেক সময় কোনও লক্ষণ ধরা নাও পড়তে পারে। এক্ষেত্রে নিয়মিত স্ক্রিনিং রোগ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে থাকে। ব্রেস্ট🦋 ক্যানসার একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত করꦬা হয়, যেমন ম্যামোগ্রাফি, বায়োপসি, ব্রেস্ট এমআরআই, ইত্যাদি।
এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে যে আপনার ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড❀়ে তাহলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে। এতে ক্যানসার দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়া আটকানো যাবে। চিকিৎসা বিজ্ঞান এখন অনেক উন্নতি করেছে, সঠিক সময় রোগ ধরা পড়ার পর চিকিৎসা শুরু হলে এই রোগ আটকানো সম্ভব। সুস্থ জীবন যাপন করাও।