গ্রীষ্মে ঘামের গন্ধ বেড়ে যায় অনেকের♒🎉ই। সেটি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতেই পারে। আর সেই কারণেই অনেকে ডিয়োডোর্যান্ট বা পারফিউম ব্যবহার করেন। বেশি ফল পেতে অনেকে আবার এগুলি সরাসরি ত্বকের প্রয়োগ করেন। এই কাজ কি আদৌ নিরাপদ?
পারফিউম বা ডিয়োডোর্যান্ট হল সুগন্ধি তেল এবং অ্যালকোহলের মিশ্রণ। পারফিউম বা ডিয়োডোর্যান্টের বোতলগুলিতে সুগন্ধি তেল থাকে, যা হয় রাসায়নিকভাবে তৈরি করা, নয়তো প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া। এই তেলগুলি তার প𒆙রে অ্যালকোহলে মিশিয়ে বোতলে ভরা হয়। অ্যালকোহলের কাজ হল এই তেলগুলির সংরক্ষণ করা।
কীভাবে পারফিউম এবং ডিয়োডোর্যান্ট কাজ করে?
NCBI-এর একটি গবেষণা অনুসারে, পারফিউম এবং ডিয়োডোর্যান্টগুলি ঘর্মগ্রন্থীকে কিছুটা অকেজো করে দেয়। তাই এগুলি সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা যায় কি না তা নিয়ে সন্꧋দেহ রয়েছে। অনেক সময়ে ❀এর ভয়ানক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা দেয়।
কী বলছেন চিকিৎসকরা?
চিকিৎসকদের মꦓতে, বহু ডিয়োডোর্যান্ট বা পারফিউমে ক্ষত🍷িকারক রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা ত্বকে জ্বালার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। চুলকানি হতে পারে। অ্যালার্জির ভয়ও থাকে।
ত্বকে ডিয়োডোর্যান্ট সরাসরি ব্যবহার করলে কী কী হতে পারে?
- ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে: এর অ্যালকোহল ত্বকের আর্দ্রতা শোষণ করে। এতে ত্বকের নানা সমস্যা হতে পারে। কখনও কখনও ডিয়োডোর্যান্টে থাকা নিউরোটক্সিনগুলি স্নায়ুতন্ত্রকেও প্রভাবিত করতে পারে।
- ত্বকে ঘা হতে পারে: ত্বকে ক্ষত বা ঘা হতে পারে এর ফলে। সেখানে ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া জন্মাতে পারে। এগুলিতে উপস্থিত কিছু রাসায়নিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এতে ক্যানসারের মতো বড় অসুখও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- অ্যালজাইমারের কারণ হতে পারে ডিয়োডোর্যান্ট: এতে থাকা রাসায়নিক অ্যালজাইমারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে। এগুলি শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি করতে পারে। এর তীব্র গন্ধের কারণে নাকের ফাইবারগুলিরও ক্ষতি হয়। তাই এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত নয়। একই সঙ্গে সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়।
জামাকাপড়ে ডিয়োডোর্যান্ট ব্যাবহার করতে পারেন। যদি ত্বকে ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনও উপায় না থাকে, সেক্ষেত্রে এটি সরাসরি ত্বকে প্রয়োগের আগে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ননি। তার উপরে ডিয়োডোর্যান্ট লাগান। ডিয়োডোর্যান্ট ত্বকে প্রয়োগ কর💞ার পরে ঘষবেন না। তাতে এꦰটি ত্বকের ভিতরে চলে যেতে পারে।