বয়স তাঁর ১০। ক্লাস ফাইভে পড়াশুনা করে। আর এই খুদেই অসাধ্য সাধন করে ফেলেছে। কখনও মুখস্থ করে ফেলছে ১৩০ দেশের রাজধানীর নাম, কখনও বা পৃথিবীর ২৬ বিখ্যাত স্ট্যাচুর নাম; ঝরঝর করে বলে ফেলে এই ছেলে। হিলি থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা চুকুরপাই গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি ইমরান মণ্ডলের ছেলে ইমন মণ্ডল। যার এই সব কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি এই বয়সেই পড়ে ফেলেছে কোরান শরিফ। আলবাকারা শ🧸ূরা এক লহমায় ঠোঁটস্থ বলছে এই বিস্ময়কর বালক। এবার ইমনের এই কীর্তির জন্য ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের তরফে মিলল স্বীকৃতিও। এদিন ইমনের এই সাফল্যে খুশি পাড়-প্রতিবেশীরা।
ইমনের পরিবার সূত্রের খবর, গত ১১ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-র অনলাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল সে। দেশের ১০ জন এই ধরনের প্রতিভাবান কিশোরের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়। সেখানেই ইমনের প্রতিভা স্বীকৃতি পেয়েছে। সম্মান জানানো হয়েছে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের তরফে। মিলে🎃ছে শংসাপত্র।
এদিকে এই অল্প বয়সেই ছেলের এই বিশাল সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পরিবারের সদস্যরা। খুশি বাবা-মা। ইমনের মা বিজিয়া সুলতান✃া মুন্সীর কথায়, ‘ছোট থেকেই ওর পড়াশোনার প্রতি খুব ঝোঁক। এখন যা শিখেছে তা মোবাইল ঘেঁটেই। ইন্টারনেট থেকে পড়াশোনা করার একটি আগ্রহ রয়েছে। শিক্ষকেরাও যথেষ্ট সাহায্য করেন। ওর পড়াশোনায় যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেটা আমরা সব-সময় দেখি।’
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম ওঠার সুবাদে মেডেল ও শংসাপত্র পৌঁছে গিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে হিলি ব্লকের পাঞ্জুল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চুকুরপাড় গ্ဣরামে ইমনের বাড়িতে। এত কম বয়সে এমন সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবেই অত্যন্ত খুশি তার পরিবার। বিশেষত ইমনের বাবা, পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইমরান মন্ডলের আনন্দ যেন ধরে না। পড়ুয়া নিজে জানাল, মোবাইল থেকে বিভিন্ন তথ্য খাতায় লিখে নিয়ে পড়াশুনা করত সে।
বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে রয়েছে ইমনের। এই অল্প বয়সেই ইঞ্জিনিয়রিংয়ের পাঠ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটিও শুরু করে দিয়েছে। সাফল্য খুশি সেই খুদেও। অকপটেই বলছে, ইন্টারনেট থেকেই আমি সব শিখে🔯ছি। খেলাধূলার থেকে পড়তে বেশি ভাল লাগে। তাই সবসময় এসব নিয়েই থাকি। স্কুলের শিক্ষকরাও সাহায্য করেন। মা'ও খুব হেল্প করে। ইন্ডিয়া ব🃏ুক অব রেকর্ডসে নাম উঠেছে। খুবই ভাল লাগছে। চাই আগামীতে মাধ্যমিকেও খুব ভাল রেজাল্ট করতে।