শিশুদিবস ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনꦡটি শౠিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। দিনটি উৎসর্গ করা হয় দেশের শিশুদের জন্য।
🌞শিশুদের প্রতি নেহরুর অনুরাগ, ভালোবাসা এবং স্নেহ ছিল। ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর এলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। শিশু দিবসে স্কুলগুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা হয়। খেলাধুলা, বিতর্ক সেমিনা🧜র, সঙ্গীত, নৃত্য, প্রবন্ধ, বক্তৃতা, চিত্রাঙ্কন ইত্যাদিতে মেতে থাকে ছোট ছোট বাচ্চারা। বিজয়ীদের বিভিন্ন পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
নেহরুর মতে, শিশু দিবস জাতির ভবিষ্যৎ নেতাদের মধ্যে গুণের বীজ বপনের দিন। সুশিক্ষা, ভালোবাসার মাধ্যমে এই বীজগুলো বেড়ে উঠবে, দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করবে। এইদিন বিভিন্ন স্কুলেই বাচ্চারা শিশু দিবস নিয়ে নানা বক্তব্য পাঠ করে থাকে। তেಞমনই একটি বক্তব্যের নমুনা থাকল এই প্রতিবেদনে।
শিশুদিবসের বক্তৃতা:
সম্মানিত অধ্যক্ষ, শিক🔜্ষক এবং আমার প্রিয় বন্ধুরা। আপনাদের সকলকে শিশু দিবসের ⛄শুভেচ্ছা....
আজ আমরা সবাই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর ১৩৩তম জন্মবার্ষিকী এবং শিশু দিবস উদযাপন 🌺উপলক্ষে এখানে জড়ো হয়েছি। শিশুদের প্রতি পন্ডিত জওহরলা❀ল নেহরুর ছিল অগাধ স্নেহ। শিশুদেরই তিনি জাতির আসল শক্তি এবং সমাজের ভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করতেন। এই কারণেই তাঁর জন্মদিন, ১৪ নভেম্বর সারা দেশে শিশু দিবস হিসাবে পালিত হয়। শিশুরাও তাঁকে আদর করে চাচা নেহরু বলে ডাকত।
এই দেশকে ব্রিটিশ মুক্ত করতে চাচা নেহরুর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। তিনি একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর তাঁর নেতৃত্বের যোগ্যত♒ার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে দেশের শাসনভার দেওয়া হয়। কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি সফলভাবে দেশের হাল ধরেন এবং দেশকে উন্নতির দিকে𝕴 এগিয়ে যান। আজ তাঁকে স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানানোর দিন।
চাচা নেহরু বলতেন, আজকের শিশুরাই আগামীর ভারত গড়বে, আমরা যত ভালো করে শিশুদের যত্ন নেব, ততই উন্নত জাতি গড়ে উঠবে। তাই এই দিনে শিশুকল্যাণের কথা বলা প্রয়োজন। প্রকৃতপক্ষে, শিশু দিবস শুরু করার আসল উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের চাহিদাকে স্বীকৃতি দেওয়া, তাদের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের শোষণ রোধ করা। এর উদ্দেশ্য ছিল যাতে শিশুরা ঠিকভ🔯াবে বড় ও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
কিন্তু সত্যিটা হল আজও দেশে হাজার হাজার শিশু শিশুশ্রমের সঙ্গে জড়িত। তারা সঠিকভবে শিক্ষার অধিকার পাচ্ছে 🌠না। শিশুশ্রমের সমস্যা দেশের প্রতিটি রাজ্যেই রয়েছে। ছোট বাচ্চাদের কারখানা, দোকান, হোটেল ইত্যাদিতে শ্রমিকের মতো কাজ করানো হয়।
এই শিশু দিবসে আমাদের অঙ্গীকার করা হোক, আমরা যেন শিশু নির্যাতন ও শিশুশ্রম বন্ধ করার উদ্যোগ নিই। সুবিধাবঞ♎্চিত শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আমাদের এই অঙ্গীকারই পারে নেহরুর স্বপ্নের জাতি গড়ে তুলতে। এই কথা জানিয়ে আজ আমার বক্তব্য শেষ করছি।
আপনাদের সবাইকে আব💙ারও শি🍬শু দিবসের শুভেচ্ছা। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।