কোভিডের নতুন ভ্যারিয়ান্ট অনেক বেশি সংক্রমক এবং মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। সম্প্রতি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এমনটাই জানালেন আমেরিকার প্রথম সারির বিজ্ঞানী এরিক ফেইগল ডিং। কোভিড ১৯-এর নতুন স্ট্রেন এক্সবিবি.১.৫ ভাইরাস অনেক বেশি সংক্রমক। এমনকী এর আক্রমণক্ষমতাও বেশি। অথচ এই নিয়ে আমেরিকার সরকারি রোগ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার কোনও হুঁশই নেই। সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন𒆙 (সিডিসি)-এর এমন গড়িমসি নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজ্ঞানী এরিক। তাঁর কথায়, সিডিসি-এর গা ছাড়া ভাবের জন্যই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এরিক সারা বিশ্বের মধ্যে একজন অগ্রগণ্য এপিডেমোলজিস্ট, একইসঙ্গে স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ (হেল্থ ইকোনমিস্ট)। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর টুইট বিশেষজ্ঞ মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে।
তাঁর কথায়, সিডিসি এক্স🅘বিবি.১.৫ ভাইরাস উত্তর-পশ্চিম আমেরিকায় জন্ম নিয়েছে। সেখান থেকেই দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেড়ে চলেছে সংক্রমণের হার। হাসপাতালেও ভিড় বাড়ছে রোগীদের। কিন্তু সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে সিডিসি কোনও ব্যবস্থা নেইনি।
এরিকের মতে, এই নতুন স্ট্রেনটি আগের স্ট্রেনের থেকে বেশি শক্তিশালী কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রচণ্ড দুর্বল করে দেয়। এর আগের স্ট্রেনগুলি এতো শক্তিশালী ছিল না। এছাড়াও ♓এটি মানবদেহে প্রবেশ করার পরে পরেই খুব শক্ত বন্ধন তৈরি করে। এতে রোগ ছড়ায় আরও দ্রুত। এর ফলে রোগ নির্মুল করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ডিং-এর কথায়, মানব কোশের সঙ্গে ভাইরাসের এই স্ট্রেন উচ্চ এসিই২ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়। একদিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেওয়া, অন্যদিকে মানবকোশের সঙ্গে জোরালো বন্ধন করা, এই দুই কারণে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে এক্সবিবি.১.৫ ভাইরাস।
এরিকের কথায়, মানবকোশের সঙ্গে ভাইরাসের বন্ধন যত দৃঢ় হয়, ততই সংক্রমণ দ্রুতহারে ছড়াতে পারে। বর্তমানের এক্সবিবি.১.৫ ভ্যারিয়ান্ট পুরোনো এক্সবিবি ও বিকিউ ভাইরাসের থেকেও বেশি সক্রিয়। জানা যাচ্ছে, বিএ.২ স্ট্রেন থেকে জন্ম নেও🌞য়া দুটি সাবভ্যারিয়ান্টের থেকে তৈরি হয়েছে এক্সবিবি স্ট্রেনটি। এর থেকেই এসেছে নতুন এক্সবিবি.১.৫ ভাইরাস। বিজ্ঞানীদের কথায়, এর অর্থ হল আগের সবকটি স্ট্রেনের জিনগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে নতুন স্ট্রেনে। এতেই আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে ভাইরাসটি। সরকারের তরফে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আরও দ্রু🥀ত বাড়তে পারে সংক্রমণ, এমনটাই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ মহলের।