১০ বছর আগ𒉰ে যারা দার্জিলিং গিয়েছেন তাঁরা কিছুতেই মেলাতে পারেন না আজকের দার্জিলিংয়ের সঙ্▨গে। ক্রমেই দার্জিলিং হয়ে গিয়েছে ঘিঞ্জি। সুন্দরী দার্জিলিং শহরের যেখানে সেখানে তৈরি হচ্ছে বহুতল। আরও বিপদ বাড়ছে দার্জিলিংয়ের। তবে এবার দার্জিলিংয়ের সেই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে বড় উদ্যোগ নিল পুরসভা।
কী কী পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে?
সূত্রের খবর, দার্জিলিংয়ের রাস্তার দুপাশ থেকে জবরদ🌸খল সরাতে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। মূলত দার্জিলিংয়ের সেই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বেশি পরিমাণ খোলা জায়গা, রাস্তার ধারে বসার বেঞ্চ এগুলির উপর জোর দেওয়া হবে। সেই সঙ্গেই ১৯৫০-৬০-৭০ এর দশকে দার্জিলিং যেমন ছিল তেমন কিছু ছোঁয়াকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। কারণ দার্জিলিংয়ের সেই নস্টালজিয়াটা কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছে। খাদের ধারে রেলিংটা হয়তো আছে। কিন্তু সেই অতীতের ঐতিহ্যে ভাটা পড়েছে।
সেই রেলিংয়ের 🌱ধারে সারি সারি দোকান বসে গিয়ඣেছে। সেখানে হকারদের দাপাদাপি। রাস্তার ধারে থাকা একের পর এক নিকাশির উপর সারি দিয়ে দোকান। এর জেরে নিকাশি পরিস্কার করা সম্ভব হয় না। তার জেরে বৃষ্টি হলেই সমস্যা বাড়তে থাকে।
সম্প্রতি দার্জিলিং পুরসভায় এনিয়ে মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই দার্জিলিংয়ের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সেই ঐতিহ্যকে ক𒀰ীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়।
আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে চকবাজারকে নো ভেন্ডিং জোন হিসাবে ঘোষণা করা হতে পারে। অর্থাৎ এই এলাকায় কোন হকার বসতে পারবেন না। কারণ এই চকবাজার ক্রমশ ঘিঞ্জি হয়ে যাচ্ছে। এখানে একের পর এক পার্কিং করা হচ্ছে। পরপর দোকান গড়ে উঠেছে। দার্জিলিংয়ে যখন পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে থাকে তখন এই ঘিঞ𝕴্জি পরিস্থিতির জন্য সমস্যা আরও বাড়ে।
দার্জিলিংয়ের ওল্ড মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিংকে নতুন করে রঙ করা হবে। হকারদের অন্য বিল্ডিংয়ে পুনর্বাসন দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। রাস্✤তার ধারগুলিকে পরিস্কার করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বয়স্ক মানুষরা যাতে চড়াই ভেঙে ওঠার সময় ক্লান্ত হয়ে একটু বেঞ্চে বসতে পারেন তার ব্যবস্থা থাকবে। সব মিলিয়ে অনেকের স্মৃতিᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚপটে থাকা সেই আগের দার্জিলিংয়ের কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। কার্যত কাজ ঠিকঠাক গতিতে এগোলে এবারের পুজোয় দার্জিলিং গেলে বেশ ভালো লাগতে পারে আপনারও।