বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা চলেই এলো। মাতৃদেবীর আরাধনায় বাঙালীর মনে সাজ সাজ রব। চারিদিক ঝলমলে আলোয় সজ্জিত। যদিও সম্প্রতিক ঘটনার কারণে এইবারের পুজোকে অনেকেই উত্সবের মোড়কে বাঁধতে চান না। তবে মা বছরে 😼একবার আসেন পুজো নিতে, তাই মায়ের পুজোয় ত্রুটি করতে চান না কেউই। শহরের সব পূজা কমিটি প্যান্ডেল সাজিয়ে সুন্দর থিম দিয়ে দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। মানুষের ভিড়, ♎বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখা কিংবা সারা রাত প্যান্ডেল হপিং। এইসবের জন্যই তো একবছর অপেক্ষা করে বাঙালিরা।
হ্যাঁ, অনল💦াইন শপিং আছে। তবুও পুজোর সাজে নিজের বানানো গয়না দিয়ে নিজেকে কিন꧒্তু সাজিয়ে তুলতেই পারেন। আর তার জন্য চাই খুব সাধারণ কিছু জিনিসপত্র- কিছু মিলে যাবে বাড়িতেই, বাকিগুলোও মোটামুটি নাগালেই।অতএব লেগে পড়ুন।
দুল হোক বা হার, কিংবা লকেট। সেগুলি বানাতে লাগে নানা ধরনের কাগজ, কাপড়ের টুকরো, উল, বিডস, পুঁতি, কানের দুলের আঁকড়ি, গলার হারের টাসেল, রঙিন কার, কার্ডবোর্ড, সূচ-সুতো, কাঁচি, স্বচ্ছ আঠা, ফেব্রিক রং-এর মতো কিছু জিনিসপত্র। ইন্টারনেটে সহজেই বানানো যায় এ♍মন গয়না তৈরির হাজারো ভিডিয়ো পাওয়া যায়। -প্রশিক্ষণ (ডিআইওয়াই ভিডিও)। জেনে নিন কিছু গয়না বানানোর পদ্ধতি।
আরও পড়ুন: (অষ্টমীর অঞ্জলি দিয়ে লুচির সঙ্গে এবার বেগুনের কোরমা ✃হলে কেমন হয়? রইল রেসিপি)
আরও পড়ুন: (ম্যাথিউ পেরির ড্রাগ ওভারডোজ মৃত্যুতে দোষী সাব্যস্ত এক ডাক😼্তার, কে তিনি?)
কাগজের দুল- সাধারণ প্রিন্টেড কাগজ ভাঁজ করে বা পাকিয়ে নির্দিষ্ট আকারে মুড়ে নিন🍰। বল, ত্রিভূজ, তারা, ফুল যেকোনও আকারের বানাতে পারেন। আঠা দিয়ে ভাঁজগুলো সেঁটে নিলে খানিক শক্তপোক্ত🎉 হবে। এ বার রাঙিয়ে নিন পছন্দ মতো ফেব্রিক রঙে। রং শুকোলে তার গায়ে আঠা মাখিয়ে নিতে হবে। তার পরে ফের শুকিয়ে নিন। এতে রং ওঠার সমস্যা কমবে। সমস্তটা ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে মাথার দিকটায় ফুটো করে আঁকড়ি গেঁথে নিন। ব্যস! দুল রেডি!
লকেটওয়ালা হার- কার্ডবোর্ডের উপরে নিজের পছন্দমতো লকেটের ডিজাইন বা ছবি এঁকে ফেব্রিক রং করে নিন। রং ভালোভাবে শুকিয়ে নিয়ে মাপ মতো কেটে নিন। সমান মাপের আর এক টুকরো কার্ডবোর্ডও কেটে নিন। এ বার দুটো টুকরো ভাল ভাবে আঠা দিয়ে সেঁটে নিন। পিছনের দিকটা আবার যে কোনও গাঢ় রঙে রং করে শুকিয়ে নিন। এ বা𒈔র দু’পাশে এবং ধারগুলোয় ভালো করে মাখিয়ে দিন স্বচ্ছ আঠা। পুরোটা শুকিয়ে গেলেই লকেট তৈরি।
এ বার কালো বা লাল কারের মধ্যেꦏ কিছুটা ꦗফাঁক রেখে রেখে গেঁথে নিন বিডস আর পুঁতি। তৈরি করে রাখা লকেট সেলাই করে বাঁ রিং-এ লাগিয়ে জুড়ে নিন। শেষে কারের দুই প্রান্ত জুড়ে নিন টাসেল-এর সাহায্যে। তৈরি রঙিন ডিজাইনার হার!
উলের বালা- লম্বা কার্ডবোর্ডের সমান মাপের দু’তিনট💎ে লম্বা টুকরো একসঙ্গে আটকে নিন। এ বার পুরোটা পাকি𒈔য়ে বালার আকারে জুড়ে নিন ভালো করে। ফেব্রিকে রং করে শুকিয়ে এবং তাতে স্বচ্ছ আঠা মাখিয়ে আবার শুকিয়ে নিন।
আরও পড়ুন: (লুচি নরম হচ্ছে না কিছুতেই? অষ্টমীর আগেই জেনে নিন একে লো𒁏ভনীয়😼 বানানোর টিপস)
এ বার নানা রঙের ছোট্ট ছোট্ট উলের বল বানিয়ে সেলাই করে রাখুন। বালার মাপে মোটা কালো সুতো বা কালো কার কেটে তাতে বলগুলো গেঁথে নিন। এর পরে🍸 কার্ড বোর্ডের বালার উপরে উলের বল-সমেত সুতো বা কারটা টানটান করে আঠা দিয়ে আটকে নিন। উপরে সেলাইও করে♎ নিতে পারেন।
নিজের তৈরি গয়নায় পুজোর সাজ সেজে বেরিয়ে দৃষ্টﷺি তো কাড়বেনই নি♓জের মনেও মিলবে আলাদাই আনন্দ।