Durga Puja 2024: পেশায় তিনি মৃৎশিল্পী বা প্রতিমাশিল্পী নন। এমনকি দꩵুর্গাপুজোর সঙ্গেও তার কোনওরকম সম্পর্ক নেই। তাও মায়ের প্রতি অমোঘ টান কাজ করে ভিতরে ভিতরে কোথাও যেন। আর সেই টান থেকেই দেবতোষ দাস প্রতি বছর মাকে ফুটিয়ে তোলেন আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আপাত তুচ্ছ সামগ্রীতে। কখনও প্লাস্টিকের বোতল, তো কখন ফেলে দেওয়া জিনিসে দেখা যায় মায়ের চিন্ময়ী রূপ। এবার তেমনই এক মূর্তি তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার ꦕশিল্পী দেবতোষ। পেনসিলের মোচ দিয়ে দুই ইঞ্চির প্রতিমা তৈরি করলেন দেবতোষ। যা ইতিমধ্যেই ক্ষুদ্রতম প্রতিমার শিরোপা অর্জন করে নিয়েছে।
মাত্র চার দিনেই প্রতিমা নির্মাণ
মাত্র চার দিনের মধ্যেই এই নিপুণ প্রতিমা (Durga Idol Made By Pencil) তৈরি করেছেন দেবতোষ দাস। চারদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম অর্জন করেছেন এই সাফল্য।൩ দেবতোষ আসলে একজন পেশাদার ফটোগ্রাফার। প্রতি বছর গঙ্গাসাগরের মেলায় ক্যামেরা হাতে তার দেখা মিলবেই। প্রতিমা গড়ার সঙ্গে দূরদূরান্তে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁর। তবুও এক অমোঘ টানেই হাতে তুলে নেন নানা আপাত তুচ্ছ জিনিস। আর তাতে শিল্পীর নৈপুণ্য দি꧟য়ে ফুটিয়ে তোলেন দেবী দুর্গাকে। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। সপরিবারে মা এসেছেন ‘পেনসিল’ অবতারে।
পেশায় তিনি ফটোগ্রাফার
পেশাদার ফটোগ্রাফার হলেও খুব ♐বেশি উপার্জন নয় দেবতোষের। অল্প উপার্জনেই এক চিলতে সুখের সংসার চালিয়ে নিচ্ছেন তিনি। কিন্তু শিল্পের প্রতি তাঁর টান বহুদিন ধরেই। হাজার সমস্যার মধ্যেই এই নেশাকে ছাড়তে পারেননি। এই বছরও তাঁর তৈরি প্রতিমা দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর প্রতিমার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় এক ক্লাবে। প্রতিবারের মতোই এবারেও সেখানেই রাখা হয়েছে তাঁর নির্মিত এই প্রতিমা।
আরও পড়ুন - Durga Puja𓃲 2024: সিংহবাহিনীরূপে এই মন্দিরে ৪০০ বছর ধরে পূজিত হচ্ছেন মা, নেই প্রাণপ্রতিষ্ঠার রীতি
ছোট থেকেই এই নেশা
গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা দেবতোষ জানাচ্ছেন, ছোট থেকেই তাঁর বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে প্রতিমা তৈরি করা নেশা। কখনও প্লাস্টিকের বোতল তো কখনও নারকেলের ছোবড়া ব্যবহার করেন তিনি। প্রতি বছরই দেবতোষের তৈরি প্রতিমা এ🌄লাকায় উন্মাদনা তৈরি করে। কারণ তার মধ্যে একদিকে থাকে নতুনত্বের ছোঁয়া, অন্যদিকে থাকে শিল্পীর নৈপুণ্য। এই দুইয়ে মিলেই প্রতিবার𒁏 দেবতোষকে এক নতুন পরিচিতি দিচ্ছে। প্রতিমাশিল্পী না হলেও তিনি পরিচিতি পাচ্ছেন একজন শিল্পীরই। প্রতিমা তৈরির আনন্দের পাশাপাশি এটাই তাঁর কাছে এখন বড় আনন্দের বিষয়।