শীতে নানা ধরনের জীবাণু সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে অনেকেরই শরীরে নানা ধরনের সংক্রমণ হয়। বিশেষ করে যাঁদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম, তাঁদের সমস্যা বাড়ে। বিভিন্নᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ ধরনের সংক্রমণের মধ্যে কানের সমস্য✨া একেবারে গোড়ার দিকেই থাকবে। এই সমস্যায় বেশি ভোগে শিশুরা।
সম্প্রতি চিকিৎসক অলকেশ অসওয়াল হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, চলতি শীতের মরশুমে কানে সংক্রমণের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। যদিও পরীক্ষা না করে বলা সম্ভব নয়, এর পিছনে কোভিড বা ওমিক্রনের কোনও ভূমিকা আছে কি না। তবে আ𝔉ক্রান্তের সংখ্যা যে বেড়েছে, তা পরিষ্কার। তাঁর মতে, ফ্লু এবং অন্য ভাইরাসের প্রভাবেই প্রতি বছর এই সময়ে কানে সংক্রমণের♏ পরিমাণ বাড়ে।
তাঁর কথায়, যে ভাইরাসগুলির কারণে এই সময়ে গলাব্যথা, সাইন𒁃াসের সমস্যা বা চোখের সমস্যা বা🐽ড়ে, সেগুলিই কানের সমস্যার কারণ হয় বেশি ভাগ ক্ষেত্রে। এই সমস্যা ফেলে রাখলে সংক্রমণ মস্তিষ্ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
কানে সংক্রমণের লক্ষণ:
- কানে ব্যথা
- মাথা ঘোরা
- মাথাব্যথা
- কান থেকে তরল পদার্থ বেরিয়ে আসা
- শোনার ক্ষমতা কমে যাওয়া
চিকিৎসকের কথায়, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে অনেকᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ সময়ে কানে ব্যথা হতে পারে। কিন্তু সেই সমস্যা হচ্ছে, নাকি সংক্রমণ হয়েছে, তা চিকিৎসক দেখে বলে দিতে পারবেন। ফলে কানে কোনও সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন:
- সেঁক দেওয়া যেতে পারে। ঠান্ডা সেঁক দেবেন নাকি গরম সেঁক— সেটি চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ঠিক করে নিন।
- শীতের মরশুমে কান পরিষ্কার রাখুন। কানের মধ্যে জল ঢুকে গেলে, তা শুকিয়ে নিন। নাহলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়বে।
- কানঢাকা টুপি বা কানচাপা পরুন। তাতে কানে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা কমবে।
- কানে তুলো গুঁজবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হবে।
- কানে হাত দেবেন না। বা খোঁচাখুঁচি করবেন না। হাতও পরিষ্কার রাখুন এই সময়ে।
- নাক থেকে কানে সংক্রমণ ছড়ায়। নাক পরিষ্কার রাখুন শীতকালে।
- ধূমপানের অভ্যাস কানে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। সেটি ত্যাগ করুন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দরকার মতো অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য ওষুধ খান।