এল নিনো, প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ক্রিয়াকলাপ, যার ফলে সমুদ্রের পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়ে গরম বাতাসকে সমভূমির দ꧃িকে পাঠিয়ে দেয়। এ কারণে সমতল ভূমিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং বৃষ্টিপাত কমে যায়। আর এপ্রিল মাস পড়েছিল এই এল নিনোর কবলেই। তাপপ্রবাহ তাই মাত্রা ছাড়িয়েছে। ভারতের জাপান, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, ব্রাজিল, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং স্পেনে গত কয়েক সপ্তাহে চরম তাপমাত্রার সম্মুখীন হয়েছে। যে দেশে গড় তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি, সেখানে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রিতে পৌঁছানো ট্র্যাজেডির চেয়ে কম নয়। এমনকি সমুদ্রের তাপমাত্রা এর আগে কখনো এত বেশি ছিল না।
মনোমুগ্ধকর জলবায়ুর জন্য পরিচিত বেঙ্গালুরুও বর্তমানে অস্বাভাবিক গরমের মুখোমুখি হচ্ছে, শনিবার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল তাপমাত্রা। ২৫ শে এপ্রিল আবহাওয়া বিভাগও পূর্বাভাস দিয়েছে যে তাপপ্রবাহ থেকে তীব্র তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি আগামী পাঁচ দিন পূর্ব এবং দক্ষিণ উপদ্বীপের ভারতে অব্যাহত থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে, রায়ালসিমা এবং দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ ও ইয়ানাম এবং উত্তর তামিলনাড়ুর বিচ্ছিন্ন পকেট জুড়ে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৫২-৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। আর,♈ বিপজ্জনকভাবে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে, ওড়িশার দৈনন্দিন জীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। ভুবনেশ্বর রাজ্যের রাজধানী ৪৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঝলসে গেছে, গ্রীষ্মের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, শিল্প শহর আঙ্গুলে ৪৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রে𒐪কর্ড করা হয়েছে। আর এই তাপমাত্রার মূল কারণ হল এল নিনো।
- কবে শেষ হবে এল নিনো
গড়ে, এল নিনোর প্রভাব প্রতি দুই থেকে সাত বছরে দেখা যায় এবং ৯ থেকে ১২ মাস স্থায়ী হয় এটি। বর্তমান এল নিনো ২০২৩ সাল🅰ের জুনে শুরু হয়েছিল এবং এটি অনুমান করা হচ্ছে যে এপ্রিলের শেষ হলেই এর প্রভাব শেষ হবে। যদিও ভারতের আ🧔বহাওয়া বিভাগ অর্থাৎ আইএমডি তার সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে যে এই বছর দেশে আরও তাপ থাকতে পারে কারণ এল নিনোর প্রভাব মে মাসের শেষ পর্যন্তও থাকলে থাকতে পারে। তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তর অভ্যন্তরীণ কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং ওড়িশার অনেক জায়গায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
- কবে নামবে বৃষ্টি
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। ২৯ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত, ২৩°C থেকে ৩৭°C পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ আংশিক মেঘলা আকাশ থা🌊কবে। তাপমাত্রা সীমা বজায় রেখে ২ এবং ৩ মে বৃষ্টি হলেও হতে পারে।
প্রসঙ্গত, একটি নতুন সমীক্ষা অনুসারে, ভারত মহাসাౠগরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২০২০ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে ১.৭ থেকে ৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে, যা সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ এবং চরম ঘূর্ণিঝড় বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করবে, বর্ষা এবং সমুদ্রের স্তরকেও প্রভাবিত করবে।