ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সম্প্রতি জিন থেরাপিকে ভারতীয়দের জন্🍰য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন। 🎶পাশাপাশি তিনি মনে করেছেন, এই ধরনের চিকিৎসা সকলের সাধ্যের মধ্যে থাকা উচিত।
জেনেটিক ব্যাধি নিরাময়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনꦅীয় হয়ে উঠেছে জিন থেরাপি। চিফ জাস্টিস মন্তব্য করেছেন, ভারতীয় সমাজ🐓ে বিরল রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। জেনেটিক ডিসঅর্ডার নিয়ে চুপ থাকার সময় আর নেই। প্রধান বিচারপতি হাজার হাজার অভিভাবকদের কথা বলেন, যাঁরা তাঁদের সন্তানদের উন্নত ভবিষ্যৎ পাইয়ে দিতে নিরন্তর লড়াই করছেন।
(আরও পড়ুন: নজির💃 গড়ল সৌদি আরব, বিশ্বে🎃র প্রথম রোবোটিক হার্ট প্রতিস্থাপন হল কিশোরের বুকে)
বেঙ্গালুরু শহরে ‘জিন থেরাপি এবং প্রিসিশন মেডিসিন কনফারেন্স’-এ উদ্বোধনী ভাষণℱ প্রদান করে, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, বিরল রোগ নিরাময়ের অনুসন্ধানের কোনও অর্থ থাকে না, যদি এই চিকিত্সাগুলিতে বিরাট বাধা থেকে যায়, বিশেষত বড় শহরগুলির বাইরে এই চিকিৎসার যদি কোনও সুযোগই না থাকে। তিনি বলেন, সরাসরি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কে নেই এমন কিছু বিষয়ও একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবস্থা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন শ্রেণি, বর্ণ, লিঙ্গ এবং আঞ্চলিক অবস্থান। আর সেই কারণেই তিনি সমাজের সকল স্তরের মানুষের ক্ষেত্রে জিন থেরাপিগত চিকিৎসার সুযোগ থাকা উচিত বলে মনে করেছেন।
ভারতে জিন থেরাপি চিকিৎসা সকলের সাধ্যের মধ্যে নেই। সিজেআই চন্দ্রচূড় এই বিষয়ে বলেন, জিন থেরাপি সবাই করাতে পারেন না, তার প্রধান কারণ হল এর অত্যধিক খরচ। পশ্চিমের দেশগুলিতে জিন থেরাপির জন্য প্রতি চিকিত্সার পিছু ৭ থেকে ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়, যা ভারতের বেশিরভাগ লোকের পক্ষে বহন করাই সম্ভব নয়। ফলস্বরূপ, অনেক পরিবার এই অত্যাবশ্যক চিকিত্সা নেওয়ার জন্য🐈 ক্রাউডফান্ডিংয়ের আশ্রয় নেন। এই ধরনের চিকিত্সার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা কভার প্রদানের চেষ্টা করেছে সরকার। সেই চেষ্টার প্রশংসা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের দেশের রোগীদের জন্য উপযোগী দেশীয় প্রযুক্তির বিকাশের মাধ্যমে পরিস্থিতির কার্যকর সমাধান পাওয়া যেতে পারে।
প্রধান বিচারপতির মতে, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সহায়তার ভিত্তিতে জেনেটিক ডিসঅর্ডার সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা দরকার। এটি রোগীদের জন্যই দরকার। সাশ্রয়ী জিন থেরাপির বিকাশের জন্য তিনি বলেন, শিল্পকে কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) উদ্যোগ বা স্টার্টআপগুলিতে সরাসরি বিনিয়োগের মাধ্যমে সাহায্য বাড়ানো উচিত। বৃহত্তর শিল্প অংশগ্রহণকে উত্সাহিত করার জন্য, কর ছাড় এবং অন্যান্য সুবিধা দেওয়া যেতে🧸 পারে। বিশেষত যেহেতু বিরল রোগের চিকিত্সার বাজার তুলনামূলকভাবে খুব বেশি হয় না, তাই এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার উপরে তিনি জোর দেন।
শেষে তিনি বলেন, জেনেটিক থেরাপির ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য একজন ব্যক্তির এই ধরনের চিকিত্সা নেওয়া উচিত কি না, সেই বিষয়েও মৌলিক অধিকারের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে রোগীদের সম্ভাব্য পরিণতি, ঝুঁকি এবং যা যা আশঙ্কা আছে, সে সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবহিত করা হবে। স্বা꧑স্থ্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা প্রত্যেকের থাকা উচিত।