একদিকে ভাইরাল জ্বর, অন্য🀅দিকে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত— দুটোতেই চাপ পড়ে গলায়। শরীরখারাপ অনেকটা সেরে গেলেও গলাব্যথা সারতেই চায় না।
বৃষ্টি এবং আর্দ্রতার মধ্যে ব্যাকটিরিয়া এবং ভাইরাসজাত সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।তার মধ্যে বর্ষাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায় 🌼অনেকের। ফলে গলাব্যথা কমতে বহু সময় লেগে যায়। এক্ষেত্রে কী কী মনে রাখ🎃বেন? দেখে নেওয়া যাক।
প্রাথমিক অবস্থায় কী কী করবেন:
এই জাতীয় ভাইরাস বেশির ভাগ সময়🍸েনাক দিয়ে শরীরে আক্রমণ করে। এর পরে তারা গলায় পৌঁছায় এবং উপরের শ্বাসযন্ত্রকে প্রভাবিত করে। শরীরে পৌঁছে, তারা সংখ্যাবৃদ্ধি করে এবং আপনাকে অসুস্থ করে দেয়।
তাই হাঁচি হলে, ক্লান্ত লাগলে বা সামান্য গলাব্যথা অনুভূত হলে, প্রথম🔯েই হালকা গরম জলে নুন দিয়ে গার্গল করুন। বেটাডিন দিয়ে গার্গল করতে পারেন। এর পরে ভাপ নিন। মনে রাখব🎃েন, অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ ভাইরাসকে মারতে পারে না, তাই এসব ওষুধ খেয়ে লাভ নেই।
প্রথমেই জ্বরের ওষুধ খাবেন না:
মার্কিন ডাক্তার এরিক বার্গের মতে, আপনার যদি জ্বর হয়, তার মানে আপনার ইমিউন সিস্টেম ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে। শরীর উত্তপ্ত হলে ভাইরাস ধ্বংস হয়। তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে সংক্রমণ রোধ করা শরীরের নিজস্ব একটি উপায়। অতএব, জ্বর কমাতে অবিলম্বে ওষুধ না খাওয়াই ভালো। ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা সাধারণত জ্বর হিসাবে বিবেচিত হয় না। ১০০-র উপরে তাপমাত্♉রা জ্বর হিসাবে গণনা করা হয়। যদি আপনার তাপমাত্রা ১০০-র উপরে চলে যায়, তবে ডাক্তারের পরামর্শে জ্বরের ওষুধ খান।
গলাব্যথা কমাতে কী কী করবেন:
- জিঙ্ক, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন সি ভাইরাসকে দুর্বল করে। আপনি দিনে একটি করে মাল্টিভিটামিন খেতে পারেন।
- আপনি রোদে বসে শুকনো ফল খেতে পারেন। এটিও খুব কাজের।
- গলা ব্যথা হলে টক ফল, দই ও সোডা জাতীয় পানীয় গ্রহণ করবেন না।
- গরম জলে মধু মিশিয়ে নিয়ে পান করুন।
- প্রচুর জল খান, হালকা খাবার খান ও বিশ্রাম নিন।
- এই সময়ে গ্রিন টিও পান করতে পারেন।
- স্যুপ জাতীয় খাবার এবং প্রোটিন বেশি করে খান।
- ঘুমোনোর সময়ে হলুদ, কালো মরিচ মিশিয়ে দুধ খান।
- আর ঘুমানোর আগে গার্গল করতে ভুলবেন না।
এই নিয়মগুলি মেনে চলল💃ে গলাব্যথার দ্র🦄ুত উপশম হতে পারে।