অনিরূদ্ধ ভট্টাচার্য
কানাডার গ্রেটার টরোন্টোতে একটি মন্দির চত্বরে তৈরি হচ্ছে হনুমানের বিশ🐎াল মূর্তি। ৫৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট হনুমানের মূর্তি। ব্রাম্পটনের একটি হিন্দুমন্দির চত্বরে তৈরি হচ্ছে এই বিশাল মূর্তি। আগামী বছর এপ্রিল মাসে এই মূর্তিটির শুভ সূচনা করা হবে। হনু𓆏মান জয়ন্তীর দিনে এই মূর্তিটির উদ্বোধন করা হবে বলে খবর। কিন্তু এই মূর্তিকে ঘিরে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নেটমাধ্য়মে নানা আপত্তিকর মন্তব্য ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।
মন্দিরের পুরোহিত ফুল কুমার শর্মা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, মন্দিরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাতেও আমরা পাহারার ব্য়বস্থা করেছি। তিনি জানিয়েছেন, মূর্তি নিয়ে একটা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। মূর্তিটির প্রায় ৯৫ 📖শতাংশ তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে এই মূর্তিটি যাবতীয় পুর নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে। পুরো মূর্তিটাই দানের ভিত্তিতে করা হচ্ছে। ওরা আমাদের ধর্মের উপর আঘাত হানছেন। এটা ঠিক নয়।
এদ♍িকে সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই মূর্তিকে ঘিরে নানা আপত্তিকর পোস্ট করা হচ্ছে। সেখানে লেখা হয়েছে আর একবার মনে করিয়ে দিচ্ছি কানাডায় অভিবাশন অবিলম্বꦑে বন্ধ করা হোক।
অপর একজন লিখেছেন, এই মন্দির বা হিন্দু সংস্কৃতি নিয়ে সাধারণ মানুষের কিছু করার নেই। অপর একজন লিখেছেন, কানাডা হোয়াইট খ্রিষ্টান সমাজ। আপনারা এই দ꧒েশ ছেড়ে চলে যান।
তবে এর বিরুদ্ধ মতও উঠে আসছে। অটোয়ার বাসিন্দা রূপা সুভ্রামান্য লিখেছেন, তথাকথিত স্বাধীনতা প্রিয় কানাডাবাসীর কাছ থেকে এসব কী লেখা 🎉পাচ্ছি! ভাবুন একটা মূর্তিকে ঘিরেই এতকিছু। এমন একটা ধর্মের পক্ষ থেকে এসব করা হচ্ছে যেখানে মেরুকরণকে মান্য়তা দেওয়া হয় না।
মন্ট্রিলের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি কোচ সাফ জানিয়েছেন, মন্দিরে এমন মূর্তি তৈরির অধিকার রয়েছে। তিনি লিখেছেন, এটা ব্যক্তিগত উদ্যোগে করা হচ্ছে। এর মধ্য়ে ভুলের🍒 কিছু নেই। অন্যান্য়দের মতোই হিন্দুরা তাদের নিজেদের জায়গায় মূর্তি তৈরি করেন। এর মধ্যে দোষের কিছু নেই।
এদিকে কানাডাতে সম্প্রতি অ্য়ান্টি ইমিগ্রেশন একটা হাওয়া উঠতে শুরু করেছে। এর মধ্ꩲয়েই এবার হিন্দুফোবিয়ার কথা সামনে আসছে। হনুমানজীর মূর্তিকে ঘি🎐রে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাসছে নানা মন্তব্য।