বন্ধুদের শৈশব, খেলাধুলা, কাদামাখা হাত-পা এখন অন্য যুগের কিছু মনে হত﷽ে শুরু করেছে। গ্যাজেট আজকের শৈশবকে প্রাধান্য দিচ্ছে, যেখানে পড়াশোনা থেকে শুরু করে খেলাধুলা এবং বিনোদন সবকিছুই গ্যাজেটের মাধ্যমে করা হচ্ছে। এ কারণে শিশুরা ইয়ার প্লাগ ও হেডফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এ ছাড়া কানের সংক্রমণ, জেনেটিক ফ্যাক্টর এবং গর্ভাবস্থায় সংক্রমণও শিশুদের শ্রবণ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস𝔉্থার মতে, বিশ্বে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ শিশু কোনো না কোনো শ্রবণজনিত সমস্যায় ভুগছে। কিন্তু এর মধ্যে ৬০ শতাংশই প্রতিরোধযোগ্য। যদি আপনার সন্তানের মধ্যে শ্রবণশক্তি হ্রাসের লক্ষণগুলি লক্ষ করেন, তাহলে অবিলম্বে একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। শ্রবণশক্তি হ্রাসের লক্ষণগুলি হল কথা বলতে দেরি, আওয়াজ শুনেও প্রতিক্রিয়া না থাকা বা নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে অসুবিধা হওয়া।
শ্রবণশক্তি ভালো রাখতে কী করবেন?
শিশুরা ছোট, তাই বাবা-মায়েদের উচিত শিশুদের শ্রবণ সমস্যা উপেক্ষা না করা পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরীক❀্ষা করাতে দেরি না করাও গুরুত্বপূর্ণ।
নিয়মিত কান চেকআপ: শ্রবণ-সম্পর্কিত সমস্যাগুলির প্রাথমিক সনাক্তকরণের জন্য নিয়মিত কান পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। এতඣে একটি শিশুর ভাষা বিকাশ, শেখার ক্ষমতা এবং সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষমতা প্রভাবিত হতে পারে। ৪ থেকে ১০ বছরের শিশুর নিয়মিত কান পরীক্ষা করানো💃 প্রয়োজন।
নবজাতক শিশুর চেকআপ: শ্রবণ ক্ষমতা সংক্রান্ত কোনো ত্রুটি আছে কিনা তা দেখার জন্য নবজাতক শিশুর কান পরীক্ষা করা জরুরি। ডাক্তার অটোঅ্যাকোস্টিক এমিশন (OAE) এবং অডিটরি ব্রেনস্টেম রেসপন্স (ABR) এর মতো পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করবেন অভ্যন্তরীণ কানের শব্দ তরঙ্গ পরিমাপ করার জন্য, যাতে কোনও ছেদ জড়িত থাকে না। সময়মতো রোগ নির্ণয় করলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় কানের সমস্যা সেরে যায✃়।
ফলো-আপ স্ক্রীনিং: আপনি যখন আপনার সন্তানের রুটিন চেকআপের জন্য যান, তখন আপনার সন্তানের🅠 শ্রবণশক্তি পরীক্ষাও করান। এটি বিশেষ করে প෴্রাথমিক বছরগুলিতে করা উচিত, যখন ভাষার বিকাশ সবচেয়ে দ্রুত হয়।