থাইরয়েড গ্রন্থিতেও শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো দেখা দিতে পারে ক্যানসারর টিউমার। এই ধরনের টিউমারকে নডিউল বলা হয়। সাধারণভাবে থাইরয়েড গ্রন্থির কোষের সংখ্যা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলে তাকে ক্যানসার বলা হয়। গত তিরিশ বছরে থাইরয়েড ক্যানসার অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি এখন মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করে দেখা যাচ্ছে।। ক্যানসারে আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে প্রায় ৫.৪ শতাংশ এবং মহিলাদের মধ্যে ৬.৫ শতাংশ থাইরয়েড ক্যানসারভুক্ত। থাইরয়েড ক্যানসারে যে সাধারণ বৈশিষ্ট গুলি দেখা দিতে পারে-গলার সম্মুখভাগে ফুলে ওঠা এবং এই ফোলা খাবার গ্রহণে ঢোক গেলার সময় ওঠানামা করে। ক্যানসার হলে সেই ফোলা অংশটি বেশ শক্ত হয়। সঙ্গে ওজন কমে যায়।থাইরয়েড গ্রন্থির আশপাশে একটি বা একাধিক টিউমার হতে পারে। আবার দু’দিকেও টিউমার হতে পারে। গ্রন্থির পার্শবর্তী লিম্ফ নোডগুলো ফুলে উঠতে পারে।থাইরয়েড টিউমার স্নায়ুকে আক্রমণ করলে গলার স্বরে বড় ধরণের পরিবর্তন আসতে পারে। গলার স্বর মোটা বা ফ্যাসফ্যাসে হতে পারে। থাইরয়েড টিউমার শ্বাসনালির ওপর চাপ সৃষ্টি করে শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা ঘটাতে পারে।অবশ্যই জেনে রাখা উচিত পরিবারে কোনও থাইরয়েড ক্যানসার আক্রান্ত রোগী আছে কিনা।বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন,থায়রয়েড ক্যানসার এমন একটি রোগ, যা সময়মতো চিকিৎসা করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। তবে অবশ্যই প্রয়োজন সঠিক ও সম্পূর্ণ চিকিৎসা । গলার সামনে ফুলে উঠলে অবহেলা না করে যত তাড়াতাড়ি একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞকে দেখানো উচিত ।থাইরয়েড ক্যানসারের ক্ষেত্রে কার্যকরী চিকিৎসা হচ্ছে অপারেশন বা সার্জারি করা।পরীক্ষার পর আক্রান্তের ধরনের ওপর নির্ভর করবে থাইরয়েড গ্রন্থির কতটুকু কাটতে হবে। রোগীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে অপারেশনের পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাকি জীবন চলতে হবে।