অনেক বলেন হেঁচকি ও🍃ঠা মানে কেউ বুঝি মনে করছে বা নাম স্মরণ করছে! আবার কেউ কেউ বলে ꦚচুরি করে খেলে নাকি হেঁচকি ওঠে। যদিও এসব মনগড়া কাহিনি, বিজ্ঞানের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। তাহলে কেন ওঠে হেঁচকি? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার হজমের সমস্যা থাকলে হেঁচকি ওঠে। আবার শ্বাসনালীতে খিঁচুনি এলে ভোকাল কড বন্ধ হয়ে গিয়েও এক অস্বাভাবিক আওয়াজ হয়-- একেই বলে ♕হেঁচকি। হেঁচকি উঠলে কথা বলতে সমস্যা হয়। অনেক সময় জল খেয়েও ঠিক ꦇহয় না। এতে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়। উল্লেখ্য, এর ফলে স্নায়ুর সমস্যা, কিডনি, হৃদযন্ত্রের সমস্যাও হতে পারে। অবহেলা করলে চলবে না।
ফুসফুসের নিচে ড্রায়াফ্রাম নামে একটি পাতলা চামড়া থাকে। হঠাৎ করে এটি সংকুচিত হলে হেঁচকি ওঠে। এছাড়াও ভ্যাগাস নার্ভের কাজ বন্ধ হয়ে গেলে, অতিরিক্ত মদ্যপান করলে, অতিদ্রুত খাবার খেলে বা 𓆉ঝাঁঝালো পানীয় খেলেও হেঁচকি উঠতে পারে। দীর্ঘসময় ধরে জল না খেলেও হেঁচকি ওঠে। এই কারণগ൩ুলি কিন্তু স্বাভাবিক। ভয়ের কিছুই নেয়। ভয়ের কারণ তখনই হয়, যখন কোন কিছুতেই হেঁচকি বন্ধ হয় না।
হেঁচকি ওঠা খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। সাধারণত ম🐻িনিট খানেকের মধ্যেই তা স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছে যায়। অতিরিক্ত মাত্রায় হেঁচকির উদাহরণ কিন্তু রয়েছে। যেমন সবচেয়ে বেশি সময় ধরে হেঁচকি ওঠার বিশ্ব রেকর্ডের উদাহরণ হিসেবে মনে করা হয় আমেরিকার চার্লস অসবোর্নের ঘটনাকে। ১৯২২ সালে হেঁচকি তোলা শুরু করেন থামান ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে! অর্থাৎ মোট ৬৮ বছর পর।
চটজলদি হেঁচকি থামানোর পদ্ধতি
দু'হাঁটু বুক পর্যন্⛦ত টেনে ধরে সামনের দিকে ঝুঁকে থাকুন।
ঠান্ডা জল খান
ঘরে চিনি বা বাতাসা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিন।
কিছুক্ষণের জন্য দম বন্ধ করে রাখা।
ౠটক জাতীয়,꧅ যেমন- লেবুতে কামড় দেওয়া, অথবা ভিনিগারের স্বাদ নিন।
হেঁচকি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। তব♉ে, অতিরিক্ত হেঁচকি বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই দীর্ঘসময় ধরে হেঁচকি উঠলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হেঁচকি অনেকক্ষণ ধরে চললে, তার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।