ভারতের বেশিরভাগ সম্প্রদায়ের💟 মহিলারা শাড়ি পরে থাকেন। এটি বাঙালির জাতীয় পোশাকও বটে। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার পছন্দের শাড়ি আপনার শরীরে ডেকে নিয়ে আসতে পারে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি? কীভাবে হয় এই রোগ?
শাড়ি পরার সময় অনেকেই শক্ত করে সায়া অথবা পেটিকোট বেঁধে রাখেন কোমরে, যাতে শাড়ি খুলে না যায়। অনেকক্ষণ এই ভাবে থাকার পর যখন পেটিকোট খোলা হয় তখন সেই জায়গাটি লাল হয়ে যায় এবং চুলকোতে থাকে। অনেকের আবার কালশিটে পর্যন্ত পড়ে যায়। দীর্ঘদিন এইভাবে চলতে থাকলে দড়ি বাঁধার জায়গায় ঘা তৈরি হতে পারে। বিনা চিকিৎসায় বা অবহেলায় যদি আপনি ওই স্থান🔥টি ফেলে রাখেন তাহলে সেটাই পরবর্তীকালে ক্যানসারের পরিণ𝓀ত হয় যাকে শাড়ি ক্যানসার অথবা ধুতি ক্যানসার বলা হয়।
কী কী উপসর্গ দেখা যায়?
১) কোমর যদি লাল হয়ে থ💫াকে অথবা ক্রমাগত যদি ꧟চুলকোতে থাকে।
২) কোমরের কাছে যদি কোনও মাংসপিণ্ড তৈরি হয়।
কেন হয় শাড়ি ক্যানসার?
চিকিৎসকদের মতে, এই শাড়ি ক্যানসারটিকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা হয় স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা অথবা এসসিসি। কোমরের ভাঁজে দীর্ঘ সময় ধরে কোনও দড়ি অথবা গার্ডার জাতীয় কিছু চেপে বসে থাকলে সেখানে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। টাইট প্যান্ট, 🐷ধুতি, লুঙ্গি, পাজামা অথবা পেটিকোট পরলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে একটি জায়গায় টাইট করে কিছু বেঁধে রাখার ফলে ক্যান্সারের জন্ম হয়।
শুধু কোমরে নয়, ত্বকের যে অংশ সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে বেশি আসে, সেখানেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের সারাদিন বাইরে কাজ, তাদের উচিত বাইরে বেরোলে সꦦানস্ক্রিন ব্যবহার করা। বাইরে বেরোলে যাতে কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর যাতে ছায়ায় দাঁড়ানো যায়, সেই চেষ্টাই করতে হবে। রোদ থেকে তৈরি হওয়া ক্যানসারকে বলা হয় পেজাল ক্যানসার।
কীভাবে আটকানো যাবে এই ক্যানসারকে?
১) যদি দীর্ঘক্ষণ শাড়ি পরতে হয় সেক্ষেত্রে পেটিকোটের দড়ি আলগা করে রাখতে হবে। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর দড়ি, আলগা 🌳করে⛄ দিতে হবে।
২) কোমরের দিকে যদি কোনও আঁচিল অথবা ঘা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নি🔯তে হবে। 💯এই সমস্ত ঘা পরবর্তীকালে টিউমার অথবা ক্যানসারের পরিবর্তিত হয়ে যায়।
২) আপনাꦿর শরীরের যে সমস্ত অঙ্গ সর্বক্ষণ সূর্যের আলোর সংস্পর🔜্শে রয়েছে, সেখানে যদি অস্বাভাবিক কোনও ক্ষত অথবা ফুসকুড়ি দেখা যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।