ভারতের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ দিন ১৫ অগস্ট। এই দিনে ২০০ বছরের পরাধীনতার অন্ধকারের জাল ছিঁড়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল ভারত। এই দিনটি💎কে শুধুমাত্র স্বাধীনতা পাওয়ার দিন নয়, একই সঙ্গে যাঁরা দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের সম্মান জানানোরও দিন।
এই দিনটিতে স্কুল, কলেজ, পাড়ায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতার উদযাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নাচ, গান, বক্তৃতার সমেত অনুষ্ঠানও হয় এদিন। ফলে এই সময়ে কম বেশি সব স্কুলের শিশুরাই নিজেদের বক্তৃতা তৈরি করছে আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে। যদি কোনও শিশু এখনও নিজের বক্তৃতা ত🅠ৈরি করে না উঠতে পারে তাহলে দেখে নিন সহজ বক্তৃতা যা শিশুরা স্কুলে ভারতের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন পাঠ করতে পারে।
রইল তেমনই একটি উদাহরণ, স্কুলে বলা যেতে পারে এটি:
উপস্থিত সকল সুধীজনকে জানাই🃏 স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। সকলের সামনে এই বিশেষ দিনে আমাকে কিছু বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাওয🧔়ার দিনটিকে উদযাপন করতে আজ আমরা সবাই এখানে মিলিত হয়েছি।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশদের ২০০ বছরের শাসন থেকে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছিল। ব্রিটিশ শাসনে ভারতীয়দের উপর চালানো হয়েছিল অকথ্য অত্যাচার। এই অত্যাচার, পরাধীনতার বেড়াজাল থেকে ভারতকে, ভারতবাসীদের মুক্ত করতে আত্মবলিদান দিয়েছে বহু বীর। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মহাত্মা গান্ধি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিং, রাজগুরু, জহরলাল নেহরু, লালা লাজপত রায়, বাল গঙ🥂্গাধর তিলক, প্রমুখ।
দেশকে স্বাধীনতা এনে🍷 দেওয়ার পিছনে এঁদের অবদান অনস্বীকার্য। এই শুভদিনে তাঁদের প্রণাম জানাই। আজকের দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী দিল্লির লাল কেল্লায় পতাকা উত্তোলন করেন এবং দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। একই সঙ্গে ৩১ বন্দুকের স্যালুট দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী এদিন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে থাকেন।
সেনারা প্রধানমন্ত্রীকে এদিন স্যালুট জানান। আজকের এই শুভ দিনে দেশের কল্যাণের জন্য নিজের কাছে শপথ গ্রহণ করুন। সব সময় দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার অঙ্গীকারও গ্রহণ করুন। ভারতের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসে আপনাদের সকলকে আরও✨ একবার শুভেচ্ছা, অভিনন্দন এবং সম্মান জ😼ানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি। জয় হিন্দ!