দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য স্বাস্থ্যের জন্য 🀅উপকারী। বিশেষ করে যখন দইয়ের কথা আসে, তখন বেশির ভাগ মানুষকেই তা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়꧅া হয়। পুষ্টিবিদরাও প্রতিদিন এক বাটি দই খাওয়ার পরামর্শ দেন।
দই ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিনের পাশাপাশি অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি হজমের জন্যও দারুণ। কিন্তু আপনি কি কখনও ঠাকুমা বা দিদিমাকে বলতে শুনেছেন, শ্রাবণ মাসে দই খাওয়া উচিত নয়? তাহলে জেনে রাখুন, কথাটা একেবারে অযৌক্তিও নয়। (আরও পড়ুন: রাতে ডাল খাচ্ছেন নাকি? এই কারণেই ইউরিক অ্যাসিড বাড়ছে না তো)
আয়ুর্বেদ দই খাওয়ার বিষয়ে কী বলা হয়েছে?
আয়ুর্বেদে দই খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। যেমন সকালে ও বিকালে দই খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু রাতে দই খাওয়া নিষিদ্ধ। একই রকমভাবে আয়ুর্বেদ বর্ষায় দই খাওয়ার পরামর্শ দেয় না। কারণ বলা হয়েছে, বৃষ্টিতে দই খাওয়ার অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়।কিন্তু এই বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে? (আরও পড়ুন: কাঁচা লঙ্কা খেলেই কমবে ওজন, উজ্জ্বল হবে ত্বক, হজম হবে দ্রুত, দূরে থাকবে ক্যানসার)
বর্ষায় কেন দই খেতে বারণ করা হয় আয়ুর্বেদে?
আয়ুর্বেদ অনুসারে, শরীরের তিনটি দোষ— ব🌠াত, কফ এবং পিত্তের ভারসাম্য বজায় রাখতে আমাদের খাদ্য ও পানীয়ও ঠিক রাখা উচিত। শ্রাবণ হল বর্ষার মাস, যেখানে শরীরের এই দোষগুলরি মধ্যে ভারসাম্যের সমস্যা হয়।
বর্ষায় বাত বাড়ে এবং পিত্তও জমে, যা পেট সংক্রান্ত নানা সমস্যা বাড়াতে পারে। দইয়ের অ্যাবসিন্🐎থ বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং শ্রাবণে তা শরীরের ছিদ্রপথগুলি বন্ধ করে দেয় বলেও মনে করা হয়। এই অবস্থায়ꦓ অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে দইয়ের কারণে। তাই এটি খেলে গলাব্যাথা, জয়েন্টে ব্যথা, হজমের সমস্যার মতো সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হয়।
আর কী কী বলা হয়েছে?
আয়ুর্বেদ শুধুমাত্র দই নয়, এটি থেকে তৈরি অন্যান্য জিনিস যেমন দইবড়া, ঘোল, ইডলি না খাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে এই সময়ে। দই খাওয়ার সেরা ঋতু হল গ্রীষ্মকাল।গরমে দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং তাপ থেকে🌼ও রক্ষা পায়। কিন্তু বৃষ্টিতে দই আমাদের শরীরে নানা ধরনের সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিজ্ঞান কী বলছে?
বিজ্ঞানের মতে, বর্ষায় যেহেতু পরিবেশের আর্দ্রতা অনেকটা বেড়ে যায়, তাই এই সময়ে নানা ধরনের সংক্রমণের মাত্রাও বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে দই খ𓆉েলে আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে। এমনটাই বলছে বিজ্ঞান। অর্থাৎ আয়ুর্বেদের সঙ্গে বিজ্ঞান এক্ষেত্রে পুরোপুরি একমত নয়।
তাহলে কী করা উচিত?
এই সময়ে দই খেতে চাইলে, তার গুণমানের 𓃲দিকে নজর দিন। ভ꧃ালো মানের দই খান। খুব পুরনো দই খাবেন না।