‘নীল ছবি দেখেছিস?’ কখনও না কখনও আমরা সকলেই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি। বাড়ির বড়দের লুকিয়ে পর্ন ছবিতে চোখ রাখাও কোনও নতুন ঘটনা নয়। তবে পর্ন ছবির প্রতি আসক্তি নিয়ে সমাজ বড়ই থাকে চিন্তিত। কেন এত চিন্তা করা হয়! কেন ব্যানဣ করা হয় একাধিক পর্ন সাইট। নীল ছবি বানানো কেন এখনও বহু দেশে নিষিদ্ধ? এই ধরনের সিনেমা কীভাবে প্রভাব ফেলে মানুষের মনে! চলুন দেখে নেওয়া যাক মনোবিদ ও সেক্সোলজিস্টদের মতামত।
সম্পর্ক খারাপ হয়:
মনোবিদরা বলছেন, পর্ন আসক্তদের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে ব্যবহারে৷ তাঁদের মধ൩্যে একটি নেতিবাচক এনার্জি প্রকাশ পায়৷ অন্য কাজ বাদ দিয়ে বেশির ভাগ সময় পর্ন সাইটে কাটানোতেই তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্য থাকেন। কুপ্রভাব পড়ে কেরিয়ারে, সম্পর্কে ও মনে৷ অতিরিক্ত পর্নোগ্রাফিক ছবি যে সব পুরুষ দেখেন, তাঁরা মেয়েদের নিচু চোখে দেখতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকেই যায়। সেক্সোলজিস্টরা জানাচ্ছেন, হাজার হোক পর্নোগ্রাফির জগৎটা কিন্তু শেষ পর্যন্ত কল্পনার, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই। যেসব মানুষ বাস্তব আর এই কল্পনার জগতের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলতে পারেন না, তাঁরাই সমস্যার শিকার হন। সঙ্গিনীর প্রতি আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে ফেলেন অনেক পুরুষ। বিবাহিত সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়ে।
সেক্সুয়াল ডিসঅর্ডার:
আমেরিকান সাইক্রিয়াটিক অ্যাসোসিয়েশন পর্ন অ্যাডিকশন বা আসক্তিকে হাইপার সেক্সুয়াল ডিসঅর্ডারের সাবক্যাট🍷েগরিতে রেখেছে৷ কিন্তু পর্ন আসক্তিকে ডাক্তারি পরিভাষায় আখ্যা দেওয়ার মতো বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ পাননি বিজ্ঞানীরা৷ মার্কিন এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৯ শতাংশ ভিউয়ারই চেষ্টা করেও পর্ন আসক্তি থেকে মুক্ত পাননি৷ এমনকী তাঁদের লো লিবিডো, ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের মতোও সমস্যাও দেখা দিয়েছে। এরা বিছানায় সঙ্গী বা সঙ্গিনীর থেকে বিকৃত যৌন সুখ আশা করেন। এবং তা না পেলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
হীনম্মন্যতার কারণ:
আবার নারীদের মধ্যে পর্নের আরেক ধরনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এখানে যে সব মেয়েদের দেখা যায় তাঁদের শারীরিক গঠন, সৌন্দর্য, সব কিছুই একশো শতাংশেরও বেশি নিখুঁত। স্তন থেকে নিতম্ভের মাপ সবটাই পারফেক্ট। অনেক মেয়েই এসব দেখে হতাশায় ভোগেন।🐈 সঙ্গীর সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে লজ্জা পান। হীনম্মন্যতায় ভোগেন।