Kali Puja 2024 Ramakrishna: ‘ওরে পাগলী মা আমার', ‘খাবি না বল’? ঠিক এই ভাবেই মা ভবতারিণীকে সম্বোধন করতেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেব। কখনও মেয়ের উপর 💎রাগ করে খেতেন না কখনও আবার ভালোবেসে মেয়েকে জোর করে খাইয়ে দিতেন, এমনই সম্পর্ক ছিল মা ভবতারিণী এবং রামকৃষ্ণের। ইনি যে মায়ের ’পাগল ছেলে' ছিলেন।
১৮৫৫ সালে কলকাতার এক ধনী জমিদার পত্নী রানী রাসমণি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির। এই মন্দিরে প্রধান পুরোহিত হিসাবে সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন রামকুমার। তবে হঠাৎ করে রামকুমারের শারীরিক সমস্যা হওয়ায় গদাধর আসেন মায়ের সেবার দায🌼়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে।
অন্যান্য তথাকথিত গোঁড়া ব্রাহ্মণরা গদাধর ওরফে রামকৃষ্ণের পুজো দেওয়ার পদ্ধতি মেনে নিতে পারেননি। ঈশ্বরকে তুই বলে সম্বোধন করাকে রীতিমতো খারাপ দৃষ্টিতেই দেখতেꦺন তাঁরা। যদিও স্বয়ং রাসমণি কখনও গদাধরের পুজোয় বাধা দেননি। গদাধরকে অন্তর থেকে বিশ্বাস করতেন রানী রাসমণি।
(আরও পড়ুন: দুর্বাসার শাপেই ‘বর’ হয়েছিল লক্ষ্মীর? ধনতেরাসের🧜 এই কাহিনি কি জানেন)
মা কালীর মধ্যে এক মানবী রূপ খুঁজে পেয়েছিলেন গদাধর। মনের গভীর বিশ্বাস থেকেই তিনি ঠাকুরকে মা বলে সম্বোধন করতেন। শুধু সম্বোধন করতেন বললে ভুল বলা হবে, তিনি বিশ্বাস করতেন মা তাঁর কথা শোনেন, তাঁর হাতে খাবার খান। এই বিশ্বাস থেকেইღ মা ভবতারিণীকে একাধারে মা ও অন্যদিকে মেয়ে বলে সম্বোধন করতেন রামকৃষ্ণ।
রামকৃষ্ণের এই বিশ্বাস যখন অন্যের হাসির পাত্র হয়ে উঠেছ♏িল তখন কিছুটা রাগ করেই নিজের হাতে খড়গ তুলে নিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেকে আটকাতে তখন স্বয়ং মা নিজে এসেছিলেন মন্দিরে। তিনি যে আছেন, তা ছেলেকে বিশ্বাস করিয়ে সেখান থে꧒কে চলে যান তিনি।
তবে শুধু রামকৃষ্ণ নন, স্বামী বিবেকানন্দও একটি ঘটনার পর থেকে যেন প্রত্যক্ষ দর্শন করতে পেরেছিলেন মা ভবতারিণীকে। একদিন রামকৃষ্ণের কাছে বিবেকানন্দ এসেছিলেন মনের অশান্তি নিয়ে। তখন ঠাকুর তাঁকে মন্দিরে পাঠান এবং বলেꦯন মায়ের থেকে মনের সমস্ত ইচ্ছা চেয়ে নিতে। ঠাকুরের কথামতো মন্দিরে গিয়ে যখন দাঁড়ান নরেন্দ্রনাথ, তখন আওর নিজের ইচ্ছামতো কিছুই চাইতে পারেননি তিনি। চেয়েছিলেন শুধু জ্ঞান,বিদ্যা।
(আরও পড়ুন: ধনতেরাসের সঙ্গে যোগ নেই ধনসম্পদের! তাহলে কেন এไই নামকরণ)
একবার ভগিনী নিবেদিতাকে লেখা একটি চিঠিতে বিবেকানন্দ লিখেছিলেন, ‘মা কালী ত✱াঁকে সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করছেন এবং তাঁর সঙ্গে সব সময় আছেন।’ মায়ের অস্তিত্ব বুঝতে শ্মশান বা মন্দিরে যেতে হয় না, মাকে বুঝতে হলে চাই শুধু বিশ্বাস। তাহলেই মা ধরা দেন ভক্তের কাছে। রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের এই বিশ্বাস আজও মানুষের মনে সঞ্চারিত হয়, আজও দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরে মা ভবতারিণীর কাছে ক𓆉িছু চাইলে তিনি খালি হাতে ফেরার না।