বিশ্বকর্মা মানেই তরুণ এবং হ্যান্ডসাম। এক হাতে ছেনি বা হাতুড়ি, অন্য হাতে ঘুড়ি এবং দাঁড়িপাল্লা, যেটি জ্ঞান এবং কর্মের প্রতীক। কিন্তু হাল আমলে যে বিশ্বকর্মাকে আপনি দেখতে পান, সেকালের কলকাতায় কিন্তু এমন বিশ্বকর্মার পুজো প্রচলিত🧸 ছিল না। বিশ্বকর্মা তখন পূজিত হতেন তাঁর দুই সন্তানের সঙ্গে।
সেকালের কলকাতায় যে বিশ্বকর্মা পূজিত হতেন, তিনি হতেন বেশ স্থূল। লক্ষীর জয়া বিজয়ার মত বিশ্বকর্মা পূজিত হতেন তার দুই পুত্র নল এবং নীলের সঙ্গে। জানলে অবাক হবেন, বিশ্বকর্মার দুই পুত্রের উল্লেখ পাওয়া গেছে রামায়ণের পাতাতেও। ভগবান রামচন্দ্র যখন মাতা সীতা উদ্ধারের উদ্দেশ্যে রඣওনা হয়েছিলেন, তখন নল এবং নীল সেখানে উপস্থিত ছিলেন বানর বেশে।
(আরও পড়ুন: ‘ট্রেনের AC কোচে ঝরনার ব্🌳যবস্থা!’ কেন্দ্র𓃲কে নিশানা কংগ্রেসের)
রামেশ্বরম থেকে লঙ্কার ম🌱ান্নার পর্যন্ত দীর্ঘ সেতু নির্মাণে বড় ভূমিকা ছিল বিশ্বকর্মার এই দুই সন্তানের। সেই সেতু বর্তমানে ‘নল সেতু’ নামেই পরিচিত কারণ বিশ্বকর্মার পুত্র নল এই দীর্ঘ সেতুর পরিকল্পনা করেছিলেন, সঙ্গ দিয়েছিলেন নীল। বানরদের মধ্যে বিখ্যাত স্থপতি ছিলেন এই নল এবং নীল, ঠিক যেমন রাক্ষসদের মধ্যে স্থাপত্য নির্মাণে পারদর্শী ছিলেন ময়দানব।
কীভাবে জন্ম হলো নল এবং নীলের?
পুরাণের কাহিনী থেকে জানা যায়, এক বানরীর রূপ এবং যৌবন দেখে ♍মুগ্ধ হয়েছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। সেই বানরীর সঙ্গে মিলনের ফলে জন্ম নেꦑয় নল এবং নীল। যেহেতু বানরীর ঔরসে জন্ম হয়েছিল তাঁদের তাই দু'জনকেই দেখতে ছিল অবিকল বানরের মতো। তবে বানর হয়ে জন্মালেও স্থাপত্য শিল্পে বিশ্বকর্মার গুণাবলী পেয়েছিলেন তাঁরা।
(আরও পড়ুন: বাড়িতেই শরীরচ💝র্চা করেন? সাহায্য করবে মালাইকা-কৃতির ওয়া💫র্ক আউটের ভিডিয়ো)
বিশ্বকর্মার আদি রূপ
অতীতে যে বিশ্বকর্মার পুজো হত𝐆ো তাঁর চেহারা তরুণ বিশ্বকর্মার সঙ্গে একেবারেই মেলে না। ব্রহ্মার নাভি থেকে যেহেতু বিশ্বকর্মার জন্ম, তাই বৃদ্ধ রূপী বিশ্বকর্মাকে অনেকটা ব্রহ্মার মতোই দেখতে। বৃদ্ধ বিশ্বকর্মার বাহন ছিল হাঁস, হাতির অস্তিত্ব তৈরি হয় পরে। দেব শিল্পী বিশ্বকর্মার বাহন হাতি হয় বাঙালি পুরান মতে। এখনও বাংলার বাইরে এই বৃদ্ধ রূপী বিশ্বকর্মার পুজো হয়।