যে কোনও নারীর সাজেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ 🐠লিপস্টিক। অফিস হোক বা ডেটিং নাইট, লিপস্টিক ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখেন এরকম নারীর সংখ্যা সত্যিই হাতে গোনা। তবে, লিপস্টিকের বেশ কিছু ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। যদি তা আবার প্রেগন্যান্সির সময় ব্যবহার করা হয়। এটি সরাসরি আপনার হজম ক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। খাবারের সঙ্গে এটি আপানর শরীরে প্রবেশ করে নানা ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি কর🧸তে পারে। চলুন সেই নিয়েই এবার আলোচনা করা যাক
আপনার লিপস্টিকে কী কী উপাদান আছে পরীক্ষা করে দেখুন
ম্যাঙ্গানিজ, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম এবং অ্যালুমিনিয়াম যে লিপস্টিকে আছে, তা ব্যবহার না করাই ভালো। এগুলি শরীরে প্রবেশ করলে নানা ধরণের ক্ষতি করতে পারে। এমনকী, বেশ কয়েক বছর পরেও এগুলো শরীরে জমে থেকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই๊ লিপস্টিক কেনার সময় দেখে নিন তাতে যেন এই উপাদানগুলি না🐲 থাকে।
সীসা ও প্যারাবেন ক্যানসারের কারণ হতে পারে
বেশিরভাগ লিপস্টিকেই মজুত থাকে সীসা ও প্যারাবেন। সীসা শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এতে দুশ্চিন্তা ও হার্টের সমস্যা হতে পারে। লিপস্টিকগুলিতে প্রচুর প্রিজারভেটিভ 🔯রয়েছে যা ক্ষতিকারক। যদি তাদের পরিমাণ বেশি হয় তবে ক্যান্সারের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে প্যারাবেন থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। মহিলাদের স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আপনি যদি গর্ভবতী হন
গর্ভাবস্থায় যেহেতু ভ্রুণ থেকে একটি শিশু নারী শরীরে বেড়ে ওঠে, তাই এই সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এমনিতেই গর্ভাবস্থায় যে কোনও প্রসাধনী সামগ্রী ক্রয় করার আগে সেগুলি ‘BPA মুক্ত’, ‘সুগন্ধি মুক্ত’, ‘DEA ছাড়া’, ‘প্যারাবেন 🍸মুক্ত’, ‘কোনওরকম ফ্যাথালেট ছাড়া’ কি না, তা দেখে নেওয়া প্রয়োজন। আর বিশেষ করে লিপস্টিক কেনার ক্ষেত্রে কম দামি লিপস্টিক ব্যবহার করা এরিয়ে চলুন। সঙ্গে লিপস্টিক পরে খাওয়ার না খাওয়াই ভালো।
কী করবেন
জানেন কী, লিপস্টিকের রং যত ডার্ক হবে, তাতে তত বেশি মাত্রায় মেটাল ব্যবহার করা হয়। খাবার আগে টিস্যু দিয়ে লিপস্টিক মুছে নিয়ে তারপর খাবার খান। তারপর মুখ ধুয়ে আবার না হয় লিপস্টিক পরবেন। ঠোঁটে সরাসরি লিপস্টিক না ব🌠্যবহার করে লিপ প্রাইমার বা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এতেও ক্ষতিকারক উপাদাণ শরীরে প্রবেশের সম্ভাবনা খানিকটা কমে।