𒆙 শাড়ির সাজ মানেই, তা শুধু মহিসাদের জন্য নয়। পুরুষরাও সাজতে পারেন শাড়িতে। একথা এক প্রকার প্রমাণ করেই ছেড়েছেন পুষ্পক সেন।
🐼কলকাতার ছেলে। ক্যালকাটা বয়েজ স্কুলে পড়াশোনা করেছেন।। তার পরে আশুতোষ কলেজ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর করার পরে অতিমারির সময়ে চলে যান ইতালি। ফ্লোরেন্সের ফ্যাশন ইনস্টিটিউট পলিমোদায় ভর্তি হন পুষ্পক। তার পরেই হইচই তাঁকে নিয়ে।
🐎কী করেছেন পুষ্পক? লাল টিপ, লাল লিপস্টিক, পরনে শাড়ি। সঙ্গে আবার একগাল দাড়িও। তার এই পোশাক নির্বাচন নিয়ে বিরাট আলোচনা শুরু হয় অতিমারির গোড়ার দিক থেকেই। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রশংসা শুরু হয় বিদেশে। তার পরে ধীরে ধীরে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে ভারতেও। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। গোড়ার দিকে অনেকেই রঙ্গরসিকতা করতেন তাঁকে নিয়ে। কিন্তু ক্রমশ সেই রসিকতার মানসিকতাও ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে।
꧑হালে নিজের শহের ফিরেছিলেন পুষ্পক। এখানেও বেশ কয়েকটি ফটোশ্যুট করেছেন তিনি। সে সব ছবি দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। অনেকেই বলছেন, যে কায়দা তিনি শাড়ি পরছেন, তা রীতিমতো টেক্কা দিতে পারে যে কোনও মহিলাকেই।
✨সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, শাড়ি পরবেন বলে, পুষ্পক কখনও দাড়ি কামাননি বা নারীসুলভ চেহারা তৈরির চেষ্টা করেননি। বরং একগাল দাড়ি নিয়েই শাড়ি পরে ঘুরে বেরিয়েছেন বিদেশ থেকে খোদ কলকাতার রাস্তায়। তার সঙ্গেই পরেছেন নথ, টিপ, লিপস্টিক। এমনকী মানানসই চশমাও।
๊এই মুহূর্তে বিদেশের মাটিতে ভারতীয় ফ্যাশনের প্রতিনিধি হিসাবে ক্রমশ গুরুত্ব পাচ্ছেন পুষ্পক। কে বলতে পারেন, আগামী দিনে বিদেশেও পুরুষদের শাড়ির পরার চল শুরু হবে না তাঁকে দেখে।