নখের রংই বলে দেবে, ক্যানসার হতে পারে কিনা। বিজ্ঞানীরা নখের বিষয়ে এমনই একটি তথ্য আবিষ্কার করেছেন, যা বেশিরভাগ মানুষের নখেই দৃশ্যমান। আমেরিকার ন্য♉াশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ) এর বিজ্ঞানীদের একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে নখের উপর দৃশ্যমান ডোরা, সাধারণত সাদা বা লালচে রঙের হয় একই দাগগুলো ত্বক, চোখ এবং কিডনিতে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড🎶়াতে পারে। গবেষণা বলছে, নখের মধ্যে একটি পিণ্ড তৈরি হয়, যাকে বলা হয় ওনিকোপাপিলোমা। এটিই নখের ডগাকেও হাইলাইট করে।
গবেষকদের মতে, নখের উপর এমন দাগ থাকার অর্থ হতে পারে যে ওই ব্যক্তির বিরল জেনেটিক রোগ রয়েছে যার নাম বিএপি ওয়ান টিউমার প্রিডিপোজিশন সিন্ড্রোম। এই রোগ ত্বক, চোখ এবং কিডনিতে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। জামা ডার্মাটোলজি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে বিএপি ওয়ান জিনের পরিবর্তন সাধারণত এই সিন্ড্রোমের জন্ম দেয়। জিনটি সাধারণত শরীরে টিউমার তৈরি হতে বাধা দেয়। আর এই জিনেরই ক্রিয়াকলাপে যদি পরিবর্তন ঘটে, তাহলে টিউমার, ক্যানসারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া স😼্বাভাবিক।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সমস্যা সাধারণত শুধুমাত্র একটি নখেই দেখা দেয়। কিন্তু গবেষকরা ৩৫ টি পরিবারের বিএপি ওয়ান সিনড্রোমে আক্রান্ত ৪৭ জনের উপর অধ্যয়ন করেছেন তাদের মধ্যে ৮৮ শতাংশেরও বেশি নখে ওনিকোপাপিলোমা টিউমার ধরা পড়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আর্থ্রাইটিস অ্যান্ড মাস্কুলোস্কেলিটাল অ্যান্ড স্কিন ডিজিজেস (এনআইআইএমএস)-এর চর্মরোগ সংক্রান্ত পরামর্শ পরিষেবার প্রধান এডওয়ার্ড কওয়েন বলেছেন, 'সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই অবস্থা খুবই বিরল৷ আমরা বিশ্বাস করি যে কেউ যদি একাধিক নখে ওনিকোপাপিলোমার উপসর্গ দেখতে পান, তবেই তাঁদের বিএপি ওয়ান টিউমার প্রিডিপোজিশন সিন্ড্রোম♔ের জন্য পরীক্ষা করা উচিত।'
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ভারতে ১৬ মিলিয়ন ক্যানসার কেস রিপোর্ট করা হয়। ভাওরতে ছয় ধরনের ক্যানসার রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফুসফুসের ক্যানসার, মুখের ক্যানসার, পাকস্থলীর ক্যানসার, স্তন ক্যানসার, সার্ভিকাꦺল ক্যানসার এবং কোলোরেক্টাল ক্যানসার।
ক্যানসারের উপসর্গ কী কী হতে পারে
সমস্ত ক্যান💯সারের লক্ষণ তার ধরন এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।﷽ তবে আরও কিছু লক্ষণ আছে যা দেখা যায়, যেমন:-
১) শরীরের ওজন হঠাৎ বৃদ্ধি বা হ্রাস
২) খুব ক্লান্ত এবং দুর্বল বোধ
৩) চামড়ার পরিবর্তন
৪) ত্বকের রঙ পরিবর্তন
৫) হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া
৬) ভয়েস পরিবর্তন
৭) জয়েন্ট এবং পেশী ব্যথা
৮) ক্ষত সারতে বেশি সময় লাগে
৯) ঘন ঘন খিদে পাওয়া
১০) ফোলা ফোলা ভাব