বাড়ি ও তার চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে মনও বেশ ভালো থাকে। তবে ঘরদোর পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে টয়লেটের দিকেও নজর দিতে হয়। নিয়মিত শৌচাগার পরিষ্কার করলে দেখতে ভালো লাগে। পাশাপাশি অহ൲েতুক রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে না।
আগামী ১৯ নভেম্বর বিশ্ব শৌচাগার দিবস। এই বছর দি🍃নটির থিম হল পরিচ্ছন্নতা। শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি। পরিচ্ছন্নতা নিয়ে মানুষকে সচেতন করতেই শৌচাগারের জন্য একটি দিন সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে। পাশাপাশি জল নিয়েও মানুষকে সচেতন করা টয়লেট দিবসের উদ্দেশ্য।
ছাত্রছাত্রীদেরও টয়লেট নিয়ে সচেতন করতে এই দিনটি পালন করবে নাসিকের স্কুলগুলি। সে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর থেকে প্রতিটি স্কুলকে এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, বিশ্ব টয🦹়লেট দিবস উপলক্ষে বেশ কিছু প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। কী কী প্রতিযোগিতা আয়োজন করা যেতে পারে, তারও একটি ছক কষে দিয়েছে জেলা দপ্তরের আধিকারিক। তবে এই ছক দেখেই খেপে উঠেছেন স্কুল শিক্ষকরা। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্যে একটি হল শৌচাগারে গিয়ে সেলফি তোলা। অর্থাৎ ছাত্রছাত্রীদের টয়লেটে গিয়ে সেলফি তুলে তা পাঠাতে হবে। ꦫশৌচাগার কতটা পরিচ্ছন্ন তার ভিত্তিতে পুরস্কার পাবে সবচেয়ে ভালো সেলফিটি।
নাসিকের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের বক্তব্য, কিছু না ভেবেই এমন অদ্ভুত একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টয়লেটের সঙ্গে সেলফি তোলা আদৌ কতটা রুচিপূর্ণ, তাও ভাবাচ্ছে তাঁদের। অনেক শিক্ষকের মন্তব্য যে সব স্কুলে ঠিকমতো শৌচাগারই নেই, সেখানের ছেলেমেয়েরা কী করবে? তাছাড়া অনেক স্কুলে শৌচাগার থাকলেও তা একেবারে ব্🔯যবহারের অযোগ্য। তার আবার ছবি তুলে পাঠানো আদৌ সম্ভব? এই বিষয়ে নাসিক জেলা শিক্ষা দপ্তরের আধিকা🦩রিকের মন্তব্য জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, নাসিকে মোট ৬৫৬৩৯ সরকার🐭ি স্কুলের মধ্যে ৬৪৫৮১ স্কুলে শৌচাগার রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৬২০৩৮ স্কুলে ব্যবহারযোগ্য শ🅘ৌচাগার আছে।
তবে স🧸েলফি তোলা ছাড়াও ছাত্রছাত্রীর স্বপ্নের টয়লেট কেমন হবে সে নিয়ে ছবি আঁকার প্রতিযোগিতাও রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে পরিছন্ন ও নিরাপদ টয়লেট নিয়ে স্লোগান তৈরির প্রতিযোগিতাও। চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা এর মধ্যে যেকোনও একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে।