সন্ত্রাস, এই কথাটি আজও বহু মানুষের জীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। আজও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সন্ত্রাসী হামলার খবর পাওয়া যায়। ভারতের তাজ হোটেল হোক অথবা নিউ ইয়র্ক সিটির ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, সন্ত্রাসব🍸াদীদের আক্রমণে প্রাণ গেছে বহু নিরাপরাধ মানুষের। এই সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা𓆏 করার জন্যই পালন করা হয় জাতীয় সন্ত্রাস বিরোধী দিবস।
কবে পালন করা হয় জাতীয় সন্ত্রাসবাদী দিবস?
প্রতিবছর ২১ মে ভারতে পালন করা হয় জাতীয় সন্ত্রাস বিরোধী দিবস। ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যুরﷺ স্মরণে এই দিনটি পালন করা হয়।
কেন পালন করা হয় এই দিনটি?
ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর মাত্র ৪০ বছর বয়সে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন রাজীব গান্ধী। 🌠১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর তিনি শপথ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী হি♚সেবে। তিনি ছিলেন ভারতের সর্ব কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন।
(আরো পড়ুন: বাজার থেকে কাঁঠাল কিনবেন কি না ভাবছেনꦺ? এই ফলের উপক🤡ারিতা জানলে অবাক হবেন)
১৯৯১ সালের ২১ মে, দক্ষিণ ভারতের শ্রীপেরামবুদুরে আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয় ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর। তামিলনাড়ুর এই ♍শহরে একটি নির্বাচনী সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন তিনি। সমাবেশের আগে জনগণের অভিবাদন গ্রহণ করতে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন সকলের মাঝে।
সমাবেশের মধ্যেই লুকিয়ে ছিলেন লিবারেশন অফ তামিল টাইগারস ইলম- এর এক মহিলা সদস্য। ওই মহিলার শরীরে লুকিয়ে রাখ🃏া ছিল বিস্ফোরক। রাজীব গান্ধীর পা স্পর্শ করার অজুহাতে ওই মহিলা এগিয়ে যান তাঁর কাছে। রাজীব গান্ধীর পা স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে এক বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে চারিদিক। ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা সমাবেশ। মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে যায় গোটা দৃশ্য।
ওই বিস্ফোরনে 🧸রাজীব গান্ধী সহ মৃত্যু হয♛়েছিল আরো ২৫ জনের। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই ঘটনাটি একটি কলঙ্কিত ঘটনা। রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর থেকে ২১ মে সারা দেশ জুড়ে পালন করা হয় জাতীয় সন্ত্রাস বিরোধী দিবস।
(আরো পড়ুন:ফের𒊎 ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ! বাংলাতেও এবার FLiRT, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
আপনি কীভাবে পালন করবেন এই দিনটি?
সন্ত্রাসের ফলে ক💎ীভাবে মানুষের জীবন শেষ হয়ে যায়, কীভাবে রাজনৈতিক দোলাচলের সৃষ্টি হয়, এই সমস্ত তথ্য সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারেন। লড়াই নয় বরং শান্তি চাই, এই বার্তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি পালন করতে পারেন জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী দিবস।