যত সময় এগোচ্ছে, প্রযুক্তিগত দিক থেকে তত উন্নত হচ্ছে দেশ। প্রযুক্তিগত উন্নতির দিক থেক🐭ে পৃথিবীর প্রথম সারির দেশের মধ্যে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পেরেছে ভারত। জাতীয় স্তরে নতুন প্রযুꦏক্তির আবিষ্কার এবং ব্যবহারের কথা স্মরণ করার জন্য প্রতিবছর পালন করা হয় জাতীয় প্রযুক্তি দিবস।
কবে পালন করা হয়
প্রতিবছর ১১ মে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। প্রতিবছর ভারত সরকার ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সাইন্স এন্ড টেকনোল♚জি কমিউনিকেশন, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিভাগ, বিভিন্ন এনজিও, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র সহ আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই দিনটি উদযাপন করেন।
জাতীয় প্রযুক্তি দিবসের ইতিহাস
স্বাধীনতার পর বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নয়নে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্তও্রী জহরলাল নেহেরু। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির মেলবন্ধনে ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে ১৮ মে রাজস্থানের পোখরানে প্রথম পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নাম দেওয়া হয়েছিল স্মাইলিং বুদ্ধ।
এরপর ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে ১১ মে রাজস্থানের পোখরানে সফলতার সঙ্গে দ্বিতীয়বার পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। এই প্রজেক্টের নাম ছিল পোখরান টু। প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন🧸 ভারতরত্ন ডক্টর এ পিজে আবদুল কালাম। দ্বিতীয় বারের পরীক্ষার সফলতার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে ভারত ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছিল।
পরমাণুর পরীক্ষার সেই সাফল্যের কথা মনে রেখে ১৯৯৮ সালে ২৫ মে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজ𓃲পে🍷য়ী ঘোষণা করেন প্রতিবছর ১১ মে পালন করা হবে জাতীয় প্রযুক্তি দিবস। ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১১ মে এই দিনটি পালন করা হয়।
২০২৪ সালে জাতীয় প্রযুক্তি দিবসের কার্যক্রম
চলতি বছর বক্তৃতা, সেমিনার, তর্ক বিতর্ক, রেডিও বা টিভিতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে এই দিনটি উদযাপন করা হবে। প্রযুক্তিকে তরুণ প্রজন𒅌্মের মধ্যে জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে এই দিনটি পালন করা হয়।
ভারতীয় প্রযুক্তি দিবসের উক্তি
১) একটি যন্ত্র পঞ্চাশ জন মানুষের কাজ করতে পারে কিন্তু কোন♓ও যন্ত্র একজন অসাধারsণ মানুষের কাজ করতে পার🎀ে না।(অ্যালবার্ট হুবার্ড)
২) প্রযুক্তি আমাদের শ🐟ক্তি দেয়, কিন্তু কীভাবে সেই শক্তি ব্যবহার করতে হয় তা আমাদের বলতে পারে না। প্রযুক্তির জন্য এক মুহূর্তে সারা পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব, কিন্তু প্রযুক্তি কখনও বলতে পারে না আমাদের কী ব🔜লা উচিত।(জনাথন স্ক্যাস)