সব খাবার তো এক আঁচে রাঁধা যায় না। কোনওটার জন্য কম আঁচ তো কোনওটার জন্য বেশি আঁচ দরকার। এই আঁচ কমা𝓰নো বাড়ানোর ব্যাপারই নাকি বেশ ভালো জানত মানুষের পূর্বপুরুষরা। সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে এমন তথ্য জানা গেল। আদিম মানুষ নিয়ানডারথাল প্রজাতিকে নিয়ে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে প্লস জার্নালে। সেখানেই জানা গিয়েছে তাদের বুদ্ধিমত্তার কথা। কোন খাবার কীভাবে রান্না করতে হয় তা নিয়ে কিছুটা জ্ঞান ছিল তাঁদের। কোনও রান্নায় কখন আঁচ বাড়াতে বা কমাতে হয়, সে কায়দাও আয়ত্ত🌺 ছিল নিয়ানডারথালদের। সে আঁচ কীভাবে বাড়াতে বা কমাতে হয়, সেই বিষয়টাও ভালো রপ্ত ছিল।
(আরও পড়ুন: চাঁদে এবার রাস্তা বানানো হবে! কোন🌊 উদ্দেশ্যে এমনটা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা)
এই গবেষণা থেকে আরেকটি দাবি উঠে আসছে সম্প্রতি। বলা🐲 হচ্ছে, নিয়ানডারথালদের আলাদা প্রজাতি হিসেবে না ধরে ‘ভিন্ন ধরনের মানব প্রজাতি’ হিসেবে মনে করা যেতে পারে। এর পিছনে বেশ কয়েকটি যুক্তিও দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তার মধ্যে রয়েছে নিয়ানডারথালদের চিন্তা করতে পারার ক্ষমতা। পাশাাপাশি এই প্রজাতির আদিমানবরা বিভিন্ন ধরনের শিল্পবস্তুও তৈরি করতে পারত। নিজেদের সাজিয়ে তোলার ব্যাপারেও বেশ সতর্ক ছিল তারা। নিয়ানডারথালদের নানা গয়নার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন সময়। এর পাশাপাশি ছিল মুখরোচক খাবার খাওয়ার প্রবণতা। অর্থাৎ, একই খাবার রোজ রোজ খাওয়ার দলে পড়ত না এই বনমানুষের।
(আরও পড়ুন: ৫০০০০ বছর 𝓀পর জেগে উঠছে আদিম মারণ ভাইরাস! নেপথ্যে মওানুষেরই বড় ভুল)
ত্রেন্তো বিশ্ববিদ্যালয়ের আলেসান্দ্রা সালেত্তি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নিয়ানডারথাল সম্ভবত নিয়মিত রান্না করা খাবার খেত। সাধারণ তথ্য অনুযায়ী, এতদিন জানা ছিল, বনমানুষরা কাঁচা মাংস পুড়িয়ে খেত। তবে নিয়ানডার𝐆থ🃏ালদের ক্ষেত্রে তা রান্নার করা খাবার ছিল।
(আরও পড়ুন: ꦺআত্মীয় মারা গেলে কবর নয়, দেহাবশেষ খেয়ে ফেলা হত প্রাচীন ইউরোপে)
গবেষকদের কথায়, লাখ লাখ বছর আগে সেপিয়েন্সদের মতোই ছোটখাটো এমন নানা কাজে পারদর্শী ছিল নিয়ানডারথালরা। আরেক গবেষক দিয়েগো অ্যাঞ্জেলুসি বলেন, নিয়ানডারথাল আগুনের ব্যবহার বেশ ভালো জানত। এই ব্যাপারে আর কোনও সন্দেহ নেই। মধ্যপ্রস্তরযুগের অন্যতম নির্দশন হল পর্তুগালের গ্রুতা ডে অলিভিয়েরা🍃। আমন্ডা গুহার একট♒ি অংশ এটি। সেখান থেকেই আগুনে পোড়া বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেগুলি বিশ্লেষণ করেই এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন এই গবেষকরা।