মাথার চুল থেকে পায়ের নখ— গোটা শরীরের নানা ꦬধরনের সমস্যার একটাই সমাধান হতে পারে। নিম। হ্যাঁ, নিম এমনই এক আশ্চর্য উপাদান। এটি প্রকৃতির এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। নিয়মিত নিমপাতꦉা বা নিমগাছের অন্য উপাদান নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে বহু রোগ দূরে থাকবে।
এই কারণেই আযুর্বেদে নিমকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাবসার এই বিষয়ে কয়েকটি তথ্য জানিয়েছেন। কীভাবে নিমকে ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেছেন। (আরও পড়ুন: হলুদ খান? এর গুণাগুণ জানা আছে কি? শরীর কেমন প্রভাব পড়ে এটি খেলে? এখনই জেনে নিন)
নিম ব্যবহার করলে কী কী সুফল পাওয়া যায়?
- এটি হজম ক্ষমতার উন্নতি করে
- ক্লান্তি দূর করে
- কাশি কমাতে পারে
- ক্ষত তাড়াতাড়ি নিরাময় করতে সাহায্য করে
- ইউটিআই বা মূত্রনালীর সংক্রমণ কমায়
- কৃমি কমায়
- বমি বমি ভাব এবং বমির উপশম করে
- প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে
কীভাবে নিয়মিত নিম ব্যবহার করবেন?
- প্রলেপ আকারে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
- নিম পাউডার (অন্যান্য ভেষজের সঙ্গে মেশানো বা এককভাবে থাকা), জল বা মধু দিয়ে পেস্ট তৈরি করা যেতে পারে। এটি ত্বকে বা ক্ষতস্থানে প্রলেপ আকারে লাগাতে পারেন।
- গরম জলে নিমের গুঁড়ো বা নিম পাতা মিশিয়ে স্নান করতে পারেন। এতে ত্বকের সংক্রমণ কমতে পারে।
- খুশকি কমানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন এটি। ঠান্ডা জলে নিমপাতা ভিজিয়ে বা নিমগুঁড়ো মিশিয়ে ব্যবহার করুন। চুল ধোয়ার জন্য গরম জল ব্যবহার করবেন না।
- ভেষজ চা আকারে খেতে পারেন নিম। এই পানীয় পান করলে পেটের বহু সমস্যা কমে যায়।
- ব্রণ কমাতেও এর জুড়ি নেই। নিম পাউডার অন্য ভেষজ (যেমন চন্দন, গোলাপ, হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসাবে মুখে লাগাতে পারেন)
কী কী পদ্ধতি নিয়মিত খেতে পারেন নিম?
- রোজ ৭-৮টি নিম পাতা চিবিয়ে খান। ২ সপ্তাহ এটি করুন।
- রোজ ১-২টি নিম ট্যাবলেট খান। এঠি ১ মাস চালান।
- ২-৩ সপ্তাহ ধরে রোজ ১০-১৫ মিলিলিটার নিমের রস পান করুন।
- দাঁত ব্রাশ করতে নিমের ডাল ব্যবহার করা যেতে পারে।
- রোগীর অবস্থার উপর নির্ভর করে ডায়াবিটিস, ত্বকের সমস্যা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, জ্বর কমানো ইত্যাদির জন্য নিম যে কোন প্রকারে (বড়ি, গুঁড়ো, রস) খাওয়া যেতে পারে।
কারা নিম খাবেন না?
দীক্ষা ভ𒊎াবসার বলছেন কারও কারও নিম খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত। বিশেষ করে সেই সব নারী বা পুরুষ, যাঁরা সন্তান চাইছেন, তাঁদের নিম খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদেরও নিম খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত।