সমুদ্রের ধারে গায়ে রোদ লাগাতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর এই শহরটির সেই কারণেই বেশ সুনাম। সেখানে বিনাবস্ত্রে সৈকতে শুয়ে গায়ে রোদ লাগাতে পারেন যে কেউ। একেবারে নগ্ন হয়ে রোদস্নানের ক্ষেত্রে যাতে অসুবিধা না হয়, তা দেখার জন্য এই শহরে আছে বিশেষ কমিটিও। কিন্তু সেই রোদস্নান অনেকের ক্ষেত্রেই পরিণত হচ্ছে যৌনসঙ্গমে। রীতির সুযোগ নিয়ে যৌনস🎀ুখ উপভোগ করছেন বহু পর্যটক। আর তাতেই বিরক্ত শহরের বহু মানুষ। শেষ পর্যন্ত শহরের প্রশাসনকে বিষয়টি সামলাতে আসরে নামতে হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নেদারল্যান্ডসের ভিয়ের শহরে।
এই শহরের সমুদ্র সৈকতের খুব নামডাক। খুব বেশি পর্যটক আসেন না এখানে। আর তাই সৈকতও থাকে বেশ ফাঁকা ফাঁকা। ফলে একানে নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারে পর্যটকরা। শুধু তাই নয়, স্থানীয়রাও এই সুবিধা ভোগ করেন। কিন্তু বিষয়টি অন্য দিকে চলে যাচ্ছে। এমনই অভিযোগ তাঁদের। বহু পর্যটকই বিষয়টিকে প্রকাশ্যে যৌনসম্পর্কে লিপ্ত ꦗহওয়ার মতো করে ব্যবহার করছেন। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, শহর সংলগ্ন বালুকারাশি, সৈকতে অনেকেই য়ৌনসম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন অনেকে।
(আরও পড়ুন: কাউন্টারে সুন্দরীদের বসিয়ে খদ্দ🦄ের টানছে ফাস্ট ফুড সংস্থা? বিতর্ক বিজ্ঞাপন নিয়ে)
পরিস্﷽থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ‘কমলা সূর্য’ নামে একটি ক্যাম্পেন চালু করা হয়েছে। প্রকাশ্যে যাতে কেউ এভাবে যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হতে না পারেন, তা দেখা হবে এতে। সৈকত জুড়ে বেশ হোর্ডিং বসানো হয়েছে। সেখানে পরিষ্কার করে লেখা হয়েছে, প্রকাশ্যে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া যাবে না। তেমন কাউকে ধরা গেলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে তাঁর বিরুদ্ধে।
এই শহরের🎉 সৈকতে যাতে নগ্ন হয়ে রোদ পোহানো যায়, তার জন্য বেশ কিছু সংগঠন দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ করে আসছে। সেই সংগঠনের প্রতিনিধিরাও জানিয়েছেন, অনেকের মধ্যে এই ধারণাই নেই নগ্ন হয়ে রোদ পোহানো আর প্রকাশ্যে যৌনসম্পর্কের মধ্যে কোনও মিলই নেই। সারা গায়ে রোদ লাগানোর অধিকার অনেকেরই আছে। ডিজিটাল মাধ্যমে এডিট করে নকল চেহারার নগ্ন ছবির থেকে আসলে নগ্ন শরীর কেমন হয়, তা দেখা সব সময়েই মনের উপর ভালো প্রভাব ফেলে— এমনই বক্তব্য তাঁদের। বর্তমান পরিস্থিতি কিছু পর্যটকের কারণে সেই লক্ষ্যটিই পূরণ হচ্ছে না। আর সেই কারণেই নগ্নতার পক্ষে সওয়াল করলেও, প্রকাশ্যে যৌনসম্পর্কের রীতিমতো বিরোধিতাও করছেন তাঁরাই।