বহু জরুরি পরিষেবা ভিত্তিক সেক্টর রয়েছে, যেগুলি সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে🦹। এইসব সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের রাতের শিফটও করতে হয়। আর তার ফলে তাঁদের নানা রকমের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রাতের শিফটের কাজ, কর্মীদের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
সাꦕর্কাডিয়ান ছন্দের উপর রাত জেগে কাজ করা কীভাবে প্রভাব ফেলে?
রাত জেগে কাজ শরীরের স্বাভাবিক সার্কাডি🙈য়ান ছন্দের ♏ব্যাঘাত ঘটায়। এই সার্কাডিয়ান ছন্দ বিভিন্ন জৈবিক ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।
পাশাপাশি হাইপোথ্যালামাসের মধ্যে থাকা সুপারাকিয়াসমেটিক নিউক্লিয়াস (SCN) শরীরের মূল তাপমাত্রা এবং𒆙 অন্যান🐽্য শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলিকে প্রভাবিত করে, পাশাপাশি ঘুম-জাগরণ চক্রকেও নিয়ন্ত্রণ করে।
স্লিপ মেডিসিন ক্লিনিক জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুয়ায়ী, ভুল সার্কাডিয়ান ছন্দের কারণে ক্লান্তি, অনিদ্রা, কার্✱যক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার মতো বেশ কিছু লক্ষণ নাইট শিফট করা কর্মীদের মধ্যে দেখ♔া যায়। তাছাড়াও হজম সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। এর পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও এটি প্রভাব ফেলে। উদ্বেগ ও বিষণ্নতার মতো মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বেগে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার এই নতুন রূপ, জেনে নিন বিস্তাꦅরিত
রাতের পরিবর্ཧতে দিনে ঘুম, স্বাস্থ্যের উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে?
নাইট শিফটের কাজ ঘুমের গুণমান এবং পরিমাণকে ভীষণ ভাবে প্রভাবিত করে। সকালের আলো𓂃 ও শব্দ নাইট শিফট করা কর্মীদের ঘুমের ব্যঘাত ঘটায়, ফলে কম সময়ের জন্য তাঁরা বিশ্রাম করেন। তাই সারাদি🧸নই একটা ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের♎ উপর রাতের শিফটের𝓡 কাজ করা কীভাবে প্রভাব ফেলে?
মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নাইট শিফটে কাজ করার যে নেতিবাচক দিকগুলি রয়েছে যেই বিষয়ে জানিয়েছে স্লিপ ম🃏েডিসিন জার্নালে দেখানো এপিডেমিওলজিকাল স্টাডিজ। এই ধর⭕নের কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, উদ্বেগ ও বিষণ্নতার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। এই সমস্যাগুলি জন্য তাঁদের সাইকোট্রপিক ওষুধের সঙ্গে চিকিৎসারও প্রয়োজন হয়।
নাইট শিফটের কাজ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল 🐓সিস্টেমের উপর কী প্রভাব ফেলে?
নাইট শিফটের কাজ খাবার খাওয়ার ধরণকে ব্যাহত করে, এর ফলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমে সমস্যা হতে পারে। ঘুমের অভাবের কারণে উচ্চচর্বি এবং কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হয় এনার্জি🌳র জন্য। এছাড়া খাবার খাওয়ার সময়েরও ঠিক থাকে না। ফলে বদহজমের সমস্যা লেগেই থাকে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেলথ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দ♚েখা গিয়েছে যে নাইট শিফট করা কর্মীদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা যেমন হার্টবার্ন, ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম এবং পেপটিক আলসার হওয়ার সম্ভবনা তু𒊎লনায় বেশি থাকে।
বিপাকীয় ব্যাধিগুলির উপর রাত জাগার প্রভাব
রাত জাগার ফলে স্থূলতা, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো বিপাকীয় ব্যাধিগুলির ঝুঁকির বেড়ে যায়। ব্যাহত সার্কাডিয়ান ছন্দ, খারাপ ঘুমের মান এবং অনিয়মিত খাওয়ার ধরণ, ব𒅌িপাক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। রাত জাগার ফলে যাদের ট্রাইগ্লিসারাইড এবং উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে তাঁদের কার্ডিওভাসকুলার এবং টাইপ ২ 💙ডায়াবেটিসের সম্ভবনা বেড়ে যায়।
কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম এবং ক্যান্সার
রাতের শিফটে কাজ এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিসঅর্ডার শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে। ইস্কেমিকের মতো মারাতꦚ্মক হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এমনকি নির্দিষ্ট ধরণের ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।
রাতের শিফটে কাজ করে কীভাবে স্বাস্থ্য ভালো রাখবেন?
আপনি যদি একজন নাইট শিফট কর্মী হন, তাহলে আপনার ঘুম এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য এই টিপসগুলি মেনে চললে উপকার ꦿপেতে পারেনঃ
✅১. নীল আলো রোধকারি চশমা ব্যবহার করতে পারেন। সঙ্গ🍌ে শোবার ঘরে ব্ল্যাকআউট শেড ব্যবহার করে ঘরে আলো প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
২. ছুটি♎র দিনগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমিয়ে নিতে পারেন, এতে ঘুমের ঘাটতি কিছুটা পূরণ হবে।
৩. শিফটে একটা সামঞ্জস্য রাখার চেষ্টা করতে ✱পার🧔েন। পাশাপাশি পরপর নাইট শিফট না করার চেষ্টা করুন।
৫. শিফটের বিষ꧙য়ে নিয়োগকর্তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।