ওষুধের ভান্ডার একেবারে শূন্য, বিপাকে পড়েছেন যক্ষা রোগীরা, বর্তমানে এমনই পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গের। গত চার মাস ধরে যক্ষা রোগের ওষুধ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ജেছে কেন্দ্র, যার ফলে বিপাকে পড়েছে রাজ্য। শেষমেষ পরিস্থিতি সামলানোর জন্য রাজ্য বাজেটে স্বাস্থ্য দপ্তরের জন্য বরাদ্দ অর্থ থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে রা♈জ্যকে। যদিও তাতেও খুব একটা সুরাহা হচ্ছে না।
যক্ষা রোগীদের জন্য ওষুধ সরবরাহ করতে পারবে না কেন্দ্র, এ কথা চার মাস আগেই রাজ্যকে জানিয়ে দিয়ಌেছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য💃ের যক্ষা রোগীদের ওষুধ সরবরাহ না করলে যে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে রোগীরা। তাই কিছুটা বাধ্য হয়ে মাঠে নামতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে।
(আরো পড়ুন: কান উৎসবেও কপি! সুনীল কন্যার মতো সেজে রে🍌ড কার্পেꦯটে শোভিতা ধুলিপালা, ড্রেসের দাম জানলে আতঁকে উঠবেন)
রাজ্যে স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি অনুযায়ী, প্রথমদিকে ♉ভাঁড়ার একেবারে শূন্য হয়ে যাওয়ায় ব্💫যাপারটা সামলাতে খুব সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যদিও এখন অনেকটাই সামাল দেওয়া গেছে। ভোট পরবর্তী অবস্থায় কেন্দ্র থেকে ওষুধ আবার নিয়মিত পাওয়া যাবে বলেই আশাবাদী স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
আধিকারিকদের মতে, এ🔯ই মুহূর্তে অনিয়মিত এবং অপর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করছে কেন্দ্র। তবে আর কিছুদিন পরে পরিস্থিতি এরকম থাকবে না। তবে ততদিন ব্যবস্থা নিতে হবে স্বাস্থ্য দপ্তরকেই। এই মুহূর্তে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাক🐓া দিয়ে ২৩ লক্ষ '৪ এফডিসি' এবং সাড়ে ২৭ লক্ষ টাকা দিয়ে ' ৩ এফডিসি' কেনার জন্য একটি সংস্থাকে বরাত দিয়েছে রাজ্য।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, "আমরা যে ওষুধের বরাত দিয়েছি, তার একটি বড় অংশ কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের কাছে চলে আসবে। তখন আর কোনও সমস্যা থাকবে না।✤ ২০ জুনের মধ্যে ওষুধ চলে এলে রোগীদের আবার একসঙ্গে ২৮ দিনের ওষুধ দেওয়া সম্ভব হবে। তবে এই মুহূর্তে সাত দিনের বেশি ওষুধ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে𝓰 না।"
(আরো পড়ুন: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি দিল্লির পড়ুয়ারা সেলꩲাই করে বানানো পুতুল তৈরি করল)
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষ ২ হাজার মানুষ যক্ষা রোগী হিসাবে চিহ্নিত হন। প্রতিবছর ৫০ থেকে ৬০ হাজার রোগী ওষুধ পা🍸ন সরকারের তরফ থেকে। যক্ষা চিহ্নিত হওয়ার পর প্রথম দু মাস খেতে হয় '৪ এফডিসি' এবং পরের ৪ মাস খেতে হয় ' ৩ এফডিসি'। কিন্তু একসঙ্গে এক মাসের ওষুধ না পাওয়ায় বারবার হাসপাতালে আসতে হচ্ছে রোগীদের, স্বাভাবিকভাবেই এতে সমস্যা বাড়ছে।
স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি অনুযায়ী, অনেক রোগী আছেন যারা কলকাতায় থাকেন না। কলকাতা পার্শ্ববর্তী এলাকা যেমন মালদহ, হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং পুরুলিয়া জেলায় থাকেন তারা। ওষুধ না পাওয়ায় বারবার কলকাতায় আসতে হচ্ছে 𒈔তাদের। ফলে সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা। তবে আগামী মাস থেকে এই সমস্যা কেটে যাবে বলেই দাবি করছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা।