সোশ্যাল মি𝓡ডিয়ার অত্যধিক ব্যবহার, স্ক্রিন টাইম, বসে থাকার অভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার শুধু ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারের মতো অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ায় না। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩-২০২৪ সতর্ক করেছে যে এই জীবনধা🍬রা-সম্পর্কিত কারণগুলি প্রাণঘাতী সংমিশ্রণ যা ভারতের কর্ম উপযোগী জনসংখ্যার মধ্যে অত্যন্ত প্রচলিত। যা দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
আরও পড়ুন: (রোদে বেরোলেই পুড়ে যায় ত্বক! প্রাণ বাঁচাতে অন🌳্ধকারের বাসিন্দা এই শিশু, কী হয়েছে তার)
সমীক্ষা বলছে, ‘ভারতের কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যা লাভজনকভাবে নিযুক্ত হওয়ার জন্য, তাদের দক্ষতা এবং সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজন।’ বেসরকারি খাত এই বিষাক্ত অভ্যাসের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রেখেছে। এই সমীক্ষা ভারতীয় ব্যবসায়িকদের ঐতিহ্যগত জীবনধারা এবং রেসিপি গ্রহণ করার পরামর্শ দেয়। সমীক্ষা আরও বলে, ‘ভারতের ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা, খাদ্য এবং রেসিপিগুলি দেখিয়েছ🌠ে যে কীভাবে স্বাস্থ্যকরভাবে প্রকৃতি এবং পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করা যায়...এটি ভারতীয় ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ দ্বারা প্রকাশিত ভারতীয়দের জন্য সাম্প্রতিক খাদ্যতালিকা নির্দেশিকা অনুসারে, ভারতে প্রায় ৫৬% রোগের বোঝা অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে। সমীক্ষাটি এই তথ্যের উদ্ধৃতি দেয় এবং বলে যে শর্করা এবং চর্বিযুক্ত উচ্চ প্রক্রিয়াজাত খাবারের ব্যবহার বৃদ্ধি, শারীরিক কার্যকলাপ হ্রাস এবং বিভিন্ন খাবারে সীমিত অ্যাক্সেসের সাথে মিলিত হওয়া সঙ্কটকে বাড়িয়ে তুলতে পারে কারণ এটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি এবং অতিরিক্ত ওজন/স্থূলতার সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলবꦿে।
আরও পড়ুন: (মারা গি🍷য়েও বেঁচে ফিরলেন ব্যক্তি! ৪৫ মিনিট বন্ধ ছিল শ্বাস🧔, তবুও ঘটল মিরাক্যাল)
ওযও়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশন এবং আরটিআই ইন্টারন্যাশনাল ২০২২ সালে বিএমজে গ্লোবাল হেলথ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলেছিল,অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতা এই দুটি সাধারণ জীবনযাত্রার সমস্যা যা ভারতের প্রায় ১৭% জনসংখ্যাকে জর্জরিত করে। এছাড়াও দেশের জিডিপির ১.০২% ব্যয় করছে।
তাহলে ফ্যাট কী বাদ দেবেন আপনার খাদ্য তালিকা থেকে? না একেবারেই না। ফ্যাট, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট এই তিনটি হল প্রধান ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করার ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজন। সঠিক ফ্যাট বা চর্বিযুক্ত খাবারকে খাদ্য তালিকায় যোগ করলে কোনওদিনই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। সমীক্ষা বলছে, মাছ, সূর্যমুখীর দানা থেকে শুরু করে ফ্ল্যাক্স সীড ও চিয়া সীড, ডিম¸ আমন্ড, আখরোট বা কাজু, সোয়াবিন, ডার্ক চকꦫোলেট এইগুলি নিজেদের তালিকায় রাখলে নিজেদের শরীর বা স্বাস্থ্য অনেকটাই সুস্থ রাখা সম্ভব।