🐽 ভারতীয় ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির মিশেল। পুরী জগন্নাথের পুজোর জন্য, আচার-অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ ফুল চাষ করছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। লখনউ-ভিত্তিক CSIR ন্যাশনাল বোটানিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (NBRI) এর সহযোগিতায়, মন্দিরের মোট ১৩ একর জমি জুড়ে এই ফুলগুলি চাষাবাদ করা হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ থেকেই শুরু হওয়া এই দারুণ উদ্যোগটি ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
🔯দুই পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি মউ অনুসারে, লখনউ-ভিত্তিক গবেষণা ইনস্টিটিউট ওড়িশা মন্দিরকে বিশেষ ফুল যেমন পদ্ম, গন্ধরাজ এবং আচার-অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুগন্ধি গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এনবিআরআই জানিয়েছে, ইনস্টিটিউট পুরী মন্দিরের কর্মীদের মারজোরাম, দাভানা এবং অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত নির্দিষ্ট উদ্ভিদের বৃদ্ধির কৌশলও শেখাবে। পুরীর মন্দিরটি ইতিমধ্যে এনবিআরআইকে এই উদ্দেশ্যে ১৩ একর জমি বরাদ্দ করেছে।
♊জানা গিয়েছে, মন্দির কর্তৃপক্ষ এই জমিতে ফুল ও গাছেরচারা রোপণ করেছিল কিন্তু কাঙ্খিত ফল দিতে পারেনি। এখন, এনবিআরআই মন্দিরের কর্মীদের সাহায্য করবে। জমি এবং শ্রম মন্দিরের হবে, আর এনবিআরআই গন্ধরাজ, জেসমিন এবং গাঁদা গাছের ভাল মানের জিনোটাইপ গাছ সরবরাহ করবে।
- কোন বিশেষ ফুল ব্যবহার করা হবে পুজোয়
🌌এবার থেকে কোনও বাহ্যিক আমদানির উপর নির্ভর না করেই মন্দিরের নিজস্ব ফুল দিয়েই পুজো সম্পন্ন হবে জগন্নাথের। চাষ করা ফুলের মধ্যে পদ্ম ফুল চাষে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, NBRI 'নমোহ' নামে ১০৮টি পাপড়ি দিয়ে একটি বিশেষ পদ্মও তৈরি করেছে, যা মন্দিরের আচার-অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
🐲'স্বাস্থ্য ও সম্পদ'-এর প্রতীক হিসেবে, এই পদ্ম প্রভু জগন্নাথের পদ্মবেশায় একটি মূল উপাদান হিসাবে ব্যবহার করা হবে। মূলত, মাঘের অমাবস্যার দিন এবং বসন্ত পঞ্চমীর মধ্যে নির্দিষ্ট একটি দিনে প্রভু জগন্নাথের পদ্মবেশার অনুষ্ঠান করা হয়। পদ্মভেশার জন্য পদ্ম, 'সোলা' জরি এবং কাগজ দিয়ে তৈরি হয় প্রভুর বিশেষ রাজকীয় পোশাক। উল্লেখ্য, এনবিআরআই বরাবরই দেশের একাধিক ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের কাছাকাছি ফুলের বাগিচা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে এসেছে। পুরী জগন্নাথ মন্দির-এর আগে গোরক্ষনাথ, শিরডি, কাশী বিশ্বনাথ, এবং মীনাক্ষী মন্দিরের কাছে ফুল চাষ করেছে, NBRI।
ಞউল্লেখ্য, পুরী মন্দিরের বিশেষ পদ্ম চাষের এই উদ্যোগ শুধু ফুল চাষের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত রাখছে, তা কিন্তু নয়। এটি প্রকৃতির উপহারকে সম্মান জানানো, ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং ঐতিহ্য ও প্রযুক্তির মিশ্রণে একটি দুর্দান্ত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার উদাহরণ।