রাতে বা দিনে বিছানায় শুয়ে বই পড়েন অনেকে। তবে বিছানায় শুয়ে বই পড়া ক্ষতিকর। বিশেষ করে চিৎ হয়ে শুয়ে বই পড়া। এ ধরনের অভ্যাস থাকলে আজই পরিবর্তন করতে হবে। রাতে বিছানায় শুয়ে বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েন অনেকে। আবার সকালে ঘুম থেকে উঠে সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে খবরের কাগজ পড়েন। বহু বইপ্রেমীর অভ্যাস ট্রেনে-বাসে শুয়ে-বসে বই পড়া। আর এই শুয়ে বসে বই পড়ার সময় বইয়ের থেকে চোখের দূরত্ব সব সময় সমান থাকে না। আবার সঠিক অ্যাঙ্গেল বজায় রেখেও বই পড়ার হয়— এমন নয়। তবে যা কিছুই হোক না কেন, বই পড়ার অভ্যাস বাদ দেয়া যাবে না। আ ছোটদের ক্ষেত্রে তো তার প্রশ্নই উঠছে না। কিন্তু দেখা গিয়েছে, বহু শিশুই শুয়ে শুয়ে বই পড়ে।আমরা যখন বই পড়ি, তখন চোখ থেকে ১৫ ইঞ্চি দূরে রেখেই তা পড়ি। সেটাই স্বাভাবিক অভ্যাস। কিন্তু চিৎ হয়ে শুয়ে বই পড়ার সময়ে চোখের সোজাসুজি এতটা দূরে বই রাখা সম্ভব নয়। কারণ তাতে হাতে ব্যথা হতে পারে। তাই আমরা বই নামিয়ে আনি বুকের উপর। এই অবস্থায় চোখ থেকে ১৫ ইঞ্চি দূরে বই ধরার চেষ্টা করি। তাতে হাতে ব্যথা হয় না। কিন্তু এর ফলে অন্য সমস্যা হতে থাকে। এতে চোখ নীচের দিকে ঘুরিয়ে বুকের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। এটিও চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিপথ না। এর ফলেই চোখের পেশির একটি বিশেষ দিকে চাপ পড়ে। ক্রমে তা দৃষ্টিশক্তির উপর প্রভাব ফেলে। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলা হয় এসথেনোপিয়া।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ম না মেনে বই পড়লে হতে পারে চোখের সমস্যা। নিয়ম মেনে বই না পড়লে চোখের যেসব ক্ষতি হতে পারে:বই সঠিক দূরত্বে রেখে না পড়লে চোখের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসার সম্ভাবনা থাকে।চোখের অংশে কমে যেতে পারে রক্ত চলাচল।শিশুদের ক্ষেত্রে অল্প বয়সে চোখের পাওয়ার বাড়তে পারে বা দ্রুত বদলে যেতে পারে।চোখের অশ্রুগ্রন্থির তরল শুকিয়ে যেতে পারে, যা চোখের পেশির কাজে বাধা তৈরি হয়। ফলে প্রভাব ফেলে মাথার পেশিতেও। কমে যেতে পারে ঘুমের পরিমাণ।অ্যাংজাইটি, অস্থিরতা বাড়তে থাকে দিনের পর দিন।চোখের জন্যই আমাদের চারপাশের পৃথিবী আরও সুন্দর। সব অঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে চোখ। তাই শুয়ে পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।