কার্শিয়াংয়ে রোপওয়ে প্রকল্পকে কেন্দ্র করে এবার পর্যটনে ভরা জোয়ার আসতে চলেছে দার্জিলিং পাহাড়। পুজোর আগে থেকেই পাহ🔥াড়ে পর্যটনের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্য়েই এবার কার্শিয়াংয়ে রোপওয়ে প্রকল্পকে ঘিরে নয়া স্বপ্ন বোনা শুরু হয়ে গেল𒀰।
কার্শিয়াংয়ের গিদ্দা পাহাড় থেকে রোহিনী পর্যন্ত এই রোপওয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার ব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। প্রায় এ𒉰ক দশক ধরে সেটি বন্ধ রয়েছে। তবে সেই রোপওয়ে প্রকল্প অর্ধসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই কাজ শেষ করে রোপওয়ে চালু করার ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই পরিষেবা চালু হলে কার্শিয়াং থেকে রোহিনী হয়ে শিলিগুড়ি আসা অনেকটাই সোজা হয়ে যাবে। সময় অনেকটাই কম লাগবে। তবে এই প্রকল্পটি শেষ করতে আরও ৭-৮ কোটি টাকা লাগতে পারে। এক্ষেত্রে জিটিএ পর🦩্যটন বিভাগ এনিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। এবার সেখান থেকে সবুজ সংকেত এলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এই কাজ শেষ করতে চায় জিটিএ।
সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, জিটিএ প্রধান অনীত থাপা গোটা বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও জানিয়েছিলেন। রাজ্যের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে এনিয়ে। এবার টেন্ডার জারি করার পালা। তবে আর কাজ ফেলে রাখতে চাইছে না জিটিএ। কারণ এই ꦑরোপওয়ে চালু হয়ে গেলে পাহাড়ের পর্যটন ক্ষেত্রে নতুন করে জোয়ার আসবে। কারণ পাহাড়ে উঠে রোপওয়ে চড়ার জন্য় অনেকেই ভিনরাজ্য়ꦍে যান। কিন্তু এবার কার্শিয়াংয়েই থাকছে এই ব্য়বস্থা।
তবে রোপওয়ে চালুর আগে সবথেকে বড় বিষয়টি হল সুরক্ষা ব্যবস্থাকে ঠিকঠাক করা। সেটাই যথাযথ করতে চাইছে জিটিএ। কারণ ২.৬ কিমি দীর্ঘ হবে এই রোপওয়ে। দীর্ঘপথ রোপওয়েতে চেপে যাবেন পর্যটকরা। সাধারণ মানুষও এইভাবে পাহাড়🦂ি পথে ওঠানামা করবেন। সেকারণেই ঝুঁকি যাতে না থাকে সেটা সবার আগে দেখা হচ্ছে। সুরক্ষার সব ব্যবস্থা যাতে যথাযথ থাকে সেটা দেখ🍒া হচ্ছে।
২০১৪ সালে এই রোপওয়ে তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। প্রায় ১৩ কোটি টাকার খরচ হয়েছে এই প্রকল্পে। সেই সময় প্রকল্প ব্যয় ছিল ১৬ কোটি টাকা। তবে এখনও এই প্রকল্পে কিছু কাজ বাকি রয়েছে। কার্শিয়াং শহরের পাশের গি𓆉দ্দা পাহাড় থেকে রোহিনী ট্যুরিজম কমপ্লেক্স পর্যন্ত এই রোপওয়ে ব্যবস্থা থাকবে। সেই প্রকল্পই এবার শেষ করার উদ্য়োগ। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে টেন্ডার করার কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।