বহু বাঙালি রান্নাতেই চিনি দেওয়া হয়। তাছাড়া শেষ পাতে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসও অনেকের আছে। মোটের উপর চিনি এবং মিষ্টি বাঙালিদের অতি প্রিয়। ভারতীয়দের মধ্যেও বেশির ভাগেরই চিনির উপর একটা দুর্বলতা আছে। তার প্🎃রমাণ পাওয়া যায় পরিসংখ্যান দেখেই। কারণ ভারতে বিপুল পরিমাণে বাড়ছে ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। যার এক এবং একমাত্র কারণ হল অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া।
হালে নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রতি🐭 বছর গড়ে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষের মৃত্যু হয় চিনির কারণে।
কী কী হতে পারে এর ফলে:
- ডায়াবিটিসের সমস্যা বাড়ে। তাতে কমে রোগ প্রতিরোধ শক্তি। কমে ক্ষত শুকনোর প্রবণতাও।
- হার্টের সমস্যা বাড়ে এর ফলে।
- লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয় বেশি মাত্রায় মিষ্টি খেলে।
- ওজন বাড়তে থাকে বেশি চিনি খেলে।
- অতিরিক্ত চিনি শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।
- কোলস্টেরল-ট্রাইগ্লিয়ারয়েডেরে মাত্রা বাড়ে এর ফলে।
- ক্যানসারের মতো কঠিন অসুখের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয় চিনি।
- কমে যেতে পারে দৃষ্টিশক্তি।
- অবসাদের মতো সমস্যাও বাড়িয়ে দিতে পারে এটি।
কতটা চিনি খাওয়া উচিত:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO বলছে, পুরুষদের দিনে ৯ চামচের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়। আর মহিলাদের ৬ চামচই ষথেষ্ট। তবে মনে রাখতে হবে, পাউরুটি, বিস্কুট, মেয়োনিজ, কর্নফ্লেক্সের মতো খাবারেও চিনি থাকে। তাছাড়া প্যাকেট-বন্দি ফলের রস, সস, ক্যান্ডির মতো মিষ্টি খাবারে মারাত্মক পরিমাণে চিনি থাক🐼ে। ঠান্ডা পানীয়ে চিনির পরিমাণ বিপুল। এগুলি খেলে বাড়তি ১ চামচ চিনি খাওয়াও বিপজ্জনক হতে পারে।
চিনির বদলে কী:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিষ্টি খেতে খু🍷ব পছন্দ করলে, চিনির বদলে অন্য কিছু খান। মিষ্টি ফল খেতে পারেন। খেজুর-কিসমিসের মতো শুকনো ফলও খেতে পারেন। এমনকী আখের রস থেকে চিনি তৈরি হলেও, সেই রস চিনির চেয়ে নিরাপদ। কারণ সেই রসে সালফার-ডাই-অক্সাইডের মতো উপাদান থাকে না।