ইসলামিক দেশগুলিতে মানুষের পোশাক নিয়ে নানা ধরনের নিয়ম এবং আইন থাকে। কিন্তু এমন একটি দেশ আছে, যার সিংহভাগ𓃲 মানুষ মুসলমান হলেও সেখানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ। বিষয়টি শুনলে অবাক হতে হয়। শুধু তাই নয়, এবার সেই দেশে হিজাব প🌊রা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইনও পাশ হয়ে গেল এবং সেই আইন না মানলে দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা।
দেশটি এই এশিয়া মহাদেশেই। দেশটি সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ। তবে দেশের প্রায় ৯৫-৯৬ শতা♔ংশ মানুষই মুসলমান। তবু সেই দেশের প্রেসিডেন্ট হিজাবকে 'বিদেশি পোশাক' আখ্যা দিয়ে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছেন। নতুন আইন অমান্য করলে ৬০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাক💫া (ভারতীয় মুদ্রায়) পর্যন্ত জরিমানার করা হবে। একইসঙ্গে কোনও ধর্মীয় বা সরকারি কর্মকর্তা যদি এই আইন না মানেন, তাহলে তাকে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। দেশটিতে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রচারের জন্য সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
(আরও পড়ুন: 🌟কেন পালন করা হয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক দিবস? জেনে রাখুন এই দিনটি🌠র ইতিহাস)
অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এটি কোন দেশ? এটি হল তাজিকিস্তান। আফগানিস্তানের প্রতিবেশী এই দেশের সিংহভাগ মানুষই ইসলাম ধর্মাবলম্বী। কিন্তু ১৭ বছর আগে থেকেই এই দেশে আইনি ভাবে না হলেও হিজাবের উপর ছিল নিষেধাজ্ঞা। তবে সেটি ছিল শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাজিক শিক্ষা মন্ত্রক পড়ুয়াদের জন্য ইসলামিক পোশাক এবং পশ্চিমা ধাঁচের মিনি স্কার্ট— উভয়ই নিষিদ্ধ করেছিল। ৮ বছরের কম বয়সী ছাত্রীদের হিজাব পরা থেকে বিরত💞 রাখার নিয়ম ছিল তখন থেকেই। ১৮ বছরের কম বয়সীরা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ছাড়া জনসাধারণের ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে অ𓆉ংশ নিতে পারত না। পরে পোশাকের উপর এই নিষেধাজ্ঞা সব সরকারি প্রতিষ্ঠানেও বলবৎ হয়।
এর পরে সরকার তাজিকিস্তানের পোশ❀াকের প্রচার শুরু করে। এ জন্য প্রতিটি বাড়িতে ফোন করে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
(আরও পড়ুন: যাদের জীবনে হারিয়েছে সব রং, তাদের পাশে থাকতেই পালন করা হয় ব♏িধবা দিবস)
হালে আবার তাজিকিস্তানের হিজাব নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। কারণ এবার আইন করে নিষিদ🀅্ধ করা হয়েছে এই পোশাক। প্রে𒐪সিডেন্ট ইমোমালি রহমান হিজাবকে ‘বিদেশি পোশাক’ আখ্যা দিয়ে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছেন।
তাজিকিস্তান সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালো𒈔চনা হচ্ছে সারা দেশে। মানবাধিকার সংগঠনসহ মুসলিমদের সঙ্গে য🌼ুক্ত অনেক দল নতুন আইনের বিরোধিতা করেছে। যদিও তাজিকিস্তান সরকার সব সময় হিজাবের বিরোধিতা করে আসছে। প্রেসিডেন্ট নিজেই এটিকে দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিদেশি প্রভাবের মতো হুমকি বলে মনে করেন। ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট হিজাবের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটি দুর্বল শিক্ষা এবং অভদ্রতার প্রমাণ।