বিভিন্ন জেলায় তো বটে, কলকাতার বিভিন্ন জনপথে আপনি দেখতে পাবেন হকার। প্রায় সারা বছর ফুটপাতের ধারে এই হকারদের রমরমা দেখতে পাবেন আপনি। কিন্তু যে ফুটপাত🐼ে দোকান তৈরি করে টাকা কামাচ্ছেন হকাররা, সেই ফুটপাতের কিন্তু ℱআসল মালিক কলকাতা পৌরসভা।
সারা বছর ফুটপাতগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করতে গিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কলকাতা পৌরসভা। এত কিছু করার পরেও পৌরসভা পায় না কিছুই। কিন্তু সেই ফুটপাত অন্যকে 𒁃ভাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করে ফেলছেন হকাররা। তাই এবার হকারদের দমানোর জন্য পথে নামল কলকাতা পৌরসভা।
নিয়ম অনুযায়ী, একজন হকারের একটাই স্টল থাকার কথা। কিন্তু পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, অনেক হকার এমন রয়েছেন যাদের কাছে রয়েছে একাধিক স্টল। এমনকি অনেকে হকার না হয়েও স্টল দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করছেন। সম্প্রতি পৌরসভার সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই কিছু তথ্য।
(আরও পড়ুন: ফের নামছেন নীরজ, প্যারিসে෴ রুপো ছাড়াও নজর কেড়েছিল ৫২ লাখ𝄹ের ঘড়ি!)
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই কলকাতা হকারদের সার্বিক অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য শহর জুড়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল কলকাতা পৌরসভার তরফ থেকে। মোট ১৪টি বড় বড় এলাকায় এই সমীক্ষা করেন পুরকর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে হকܫারদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করেন তাঁরা। ছবিও তুলে রাখেন স্টল গুলির।
সমস্ত তথ্য সামনে আসার পর জানা গেছে, কলকাতায় বিভিন্ন এলাকায় এক শ্রেণির অসাধু লোক ফুটপাত ভাড়ায় দিয়ে ঘরে বসে রোজগার করে যাচ্ছেন। এনাদের মধ্যে কেউ কেউ এক সময় হকারি করতেন, কেউ আবার অন্য পেশায় যুক্ত। কেউ আবার নিজে হকার না হয়েও ফুটপাত ভাড়ায় দিয়ে মোটা টাকা ইনকাম করছেন। গোটা শহরে এর🐟কম প্রায় ৩৫০টির মতো স্টল পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, দু🌳 জায়গায় স্টল রয়েছে এরকম ২৫০ জন হকারকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী জান𒐪া যায়, কলকাতায় মোট হকার সংখ্যা ৫৫ হাজার। যদিও এই সমীক্ষা করা হয়েছে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত, ফলে সকালের দিকে কিংব🀅া সন্ধ্যের পর যারা দোকান খোলেন তাঁদের নাম এই সমীক্ষায় উঠে আসেনি। এছাড়া শহরের ১৮৬৫টি নন হকিং জোনেও কোনও সমীক্ষা করা হয়নি।
(আরও পড়ুন: মল দিয়ে স্কিন কেয়ার করলেন এক 𒉰মহিলা! 'ꦉথেরাপি দরকার', বললেন নেটিজেন)
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরসভার মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার বলেন, ‘ফুটপাতের মালিক কলকাতা 🗹পৌরসভা। যারা ♏ফুটপাতে বসে ব্যবসা করছেন, তাঁরা কখনওই সেখানকার মালিক নন। ফুটপাত ভাড়া দেওয়ার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ বেআইনি। যাঁদের একাধিক স্টল রয়েছে, তাদের যে কোনও একটা ছাড়তেই হবে। না হলে অন্যরা সুযোগ পাবেন না।’
পুরকর্তাౠরা এই প্রসঙ্গে কথা না বললেও পৌরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘রাজ্য সরকার যেরকম নির্দেশ দেবেন, তেমন ভাবেই আমরা কাজ ꧋করব।’ আপাতত যে সমস্ত হকাররা বেআইনিভাবে ফুটপাতে বসে ব্যবসা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।