এই বছর ভারতে শিশু দিবস পালন শেষ। তবে বিশ্ব শিশু দিবস এখনও পালিত হয়নি। প্রতি বছর ২০ নভেম্বর পালিত হয় এই বিশেষ দিনটি। শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে অনেককেই রাস্তায় দিন কাটাতে হয়। অনেক শিশু আবার পেট চালাতে বিভিন্ন দোকানে কাজ করে। বেশিরভাগ দেশে শিশুশ্রম অপরাধ হলেও ছবিটা তেমন🦹 পাল্টায়নি। তাদের কথা ভেবেই জাতিসংঘের ইউনিসেফ সংগঠনটি এই দিনটির আয়োজন করে।
প্রতি বছরেই এই দিনটিতে ইউনিসেফ কোনও না কোনও থিমের আয়োজন করা হয়। এই বছরেও তেমন 🥂একটি বার্তা 🔴নিয়ে এসেছে সংগঠনটি। ২০২২ সালে সারা বিশ্ব জুড়ে শুধু যুদ্ধের কারণে মোট ৫৮০ শিশু মারা গিয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে প্রাণ হারিয়েছে এই নিরীহ শিশুরা।
ইউনিসেফের কথায়, সারা বিশ্বে শিশুদ𓃲ের এতটাই অবহেলা করা হয়। যুুদ্ধের সময় অনেক শিশু সামান্য সুরক্ষাও পায় না। ফলে অকালে ঝরে যায় অনন্ত সম্ভাবনা। মধ্যপূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউক্রেনের ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে এই বছর শিশুমৃত্যুর এমন মারাত্মক 💙পরিসংখ্যান।
তাই এই বছর ইউনিসেফ শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ডাক দিয়েছে বিশ্বের দে🌺শগুলোকে। সংগঠনটি আরও জানায়, ৫৮০ টি শিশুমৃত্যু মানে প্রতি সপ্তাহে ১০ 𒐪জন করে শিশুকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। যা এককথায় মর্মান্তিক।
নানা কারণে দুটি দেশ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। তবে, এই সংঘাতে শিশুদের কোনও ভূমিকা থাকে না। অথচ যে কোনও যুদ্ধ বা সংঘাতেই তারা বলি হয়। অন্যান্য অধিকার আগে জীবনের অধিকার সুনিশ্চিত করা দরকার। এই কারণে ২০২২ সালে জাতিসংঘের এই বিশেষ থিম। সংগঠন থেকে বলা হয় ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সুদান, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের সংঘর্ষের ফলে এত শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপা🗹শি রাশিয়া ও ইউক্ꦐরেনের যুদ্ধের জন্যও প্রাণ হারিয়েছে অনেক শিশুরা। শিশুদের জীবনের অধিকার সুনিশ্চিত করা না গেলে তাদের বাকি মৌলিক অধিকারও সুনিশ্চিত করা যাবে না। শিশুদের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতা কোনও কিছুর সমাধান হতে পারে না। বিশ্ব শিশু দিবসের আগে এমনটাই মত ইউনিসেফের।