অপরিচিত কোনও জায়গা, বা এমন কোনও বাড়ি, যেখানে খুব বেশি রাত্রিবাস করেননি এর আগꦯে, সেখানে রাতে থাকতে গেলে সহজে ঘুম আসতে চায় ন🍨া। বেড়াতে গিয়ে অনেকেরই এই সমস্যা হয়। কেন এমন হয় জানেন? এর উত্তর দিচ্ছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা। শুধু তাই নয়, রাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ দরজার ক্যাঁচকোচ আওয়াজ বা পাশের বাড়ির মৃদু ঠুকঠাকেই ঘুম ভেঙে যেতে পারে। সেগুলির কারণও জানা গিয়েছে এই গবেষণা থেকে।
অস্ট্রিয়ার University of Salzburg-এ গবেষকরা এর মাঝে ঘুমের সময়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, ঘুমন্ত অবস্থায়𒐪 মস্তিষ্কের কোনও কোনও🎃 অমুভূতির পরিমাণ জেগে থাকা অবস্থার থেকে বেশি। সেই কারণেই অচেনা জায়গায় ঘুমোতে গেলে তার পারিপার্শ্বিক শব্দ মস্তিষ্ককে জাগিয়ে দেয়।
কীভাবে পরীক্ষাটি করেছেন গবেষকরা?
- যাঁদের নিয়ে সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে, তাঁদের অচেনা জায়গায় ঘুমোতে দেওয়া হয়। প্রথম রাতে তাঁদের নিজেদের মতো করেই ঘুমোতে দেওয়া হয়। দেখা যায়, জায়গাটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাঁদের কিছুটা সময় লাগছে।
- দ্বিতীয় রাতে ঘুমের মধ্যে তাঁদের আশপাশে মৃদু স্বরে তাঁদের কাছের কোনও মানুষের গলার স্বর বাজানো হয়। এমন মানুষের গলার স্বর বাজানো হয়, যাঁরা ওই ব্যক্তির সঙ্গে একই বাড়িতে থাকেন। বা যাঁদের গলা ওই ব্যক্তির অতিপরিচিত। দেখা গিয়েছে, অচেনা জায়গায় ঘুমোলেও, তাঁদের ঘুম এর ফলে গাঢ় হয়।
- তৃতীয় রাতে তাঁদের ঘুমের সময়ে আশপাশে অচেনা মানুষের গলায় তাঁদের নাম ধরে মৃদু স্বরে ডাকা হয়। বা অপিরিচিত কোনও শব্দ করা হয়। দেখা যায়, অতি অল্প মাত্রায় হলেও তাঁদের ঘুম পাতলা হয়ে যায়।
এই পরীক্ষাটির জন্য গবেষকরা electroencephalography (EEG) machine ব্যবহার করেছেন। এবং তার মাধ্যমে মস্তিষ্কের চঞ্চলতা লক্ষ্য করেছেন। সেখান থেকেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ঘুমের মধ্যে মানুষের মস্তিষ্কের কোনও কোনও বিভাগ বেশি সচল থাকে। আদিম যুগে ঘুমের মধ্যে নিজেদের ন🎶িরাপদ রাখার জন্য মানুষ হয়তো এই পদ্ধতিটি শিখে নিয়েছিল। যা এখনও রয়ে গিয়েছে জিনের মধ্যে। এমনই আন্দাজ অনেকের।