শুক্রবার সকাল থেকেই একটি খবর অনেককেই আতঙ্কিত করে দিয়েছে। পুনম পান্ডের মৃত্যু। নামী মডেল এবং অভিনেত্রী পুনমের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই আবার আতঙ൲্ক ছড🌼়িয়েছে সার্ভিক্যাল ক্যানসার নিয়ে। এবং একই সঙ্গে ফিরে এসেছে এই ক্য়ানসারের টিকার প্রসঙ্গ।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) ছিল কেন্দ্রীয় বাজেট। আর এই বাজেটের মাঝেই মহিলাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিশেষ ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জরায়ু মুখের ক্যাܫনসার প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের কথাও জানিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতার মাঝে সীতারামন জানান ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সে কিশোরীদের টিকা দেওয়া হবে। জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধে কবে থেকেই কর্মসূচি শুরু হবে, সেই নিয়ে অবশ্য কিছু বলেননি তিনি। তবে এইচপিভি টিকাকরণ কর্মসূচি নিতে আগ্রহী কেন্দ্রীয় সরকার। জরায়ু মুখের ক্যানসার বর্তমানে ভারতের নারীদের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি সমস্যা। ভারতীয় মহিলাদের যে ধরনের ক্যানসার হয়, তার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে এই জরায় মুখের ক্যানসার। প্রতিবছর প্রায় ১ লক্ষের বেশি মহিলা এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন, বছরে ৭৭ হাজার মহিলার মৃত্যু হয় জরায়ু ক্যানসারের ফলে।
(আরও পড়ুন: ⛎ভারতে বাড়ছে সার্ভিকাল ক্যানসার🎉 রোগীর সংখ্যা! ঠিক কোন বিষয়টি নিয়ে সাবধানতা দরকার)
চিকিৎসকরা মনে করেন অল্প বয়সে টিকাকরণের মাধ্যমেই জরায় মুখের ক্যানসার রোখা সম্ভব। এর ফলে এই টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর তিন বছরের মধ্যে তিনটি দফায় এই কর্মসূচি চালান হবে। যার ফলে অন্তত সাত কোটি টিকা পাওয়া গেলেই শুরু করা হবে প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মসূচি। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা অনুসারে ৯৯ শতাংশ ক্ষে༺ত্রেই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে এই ক্যানসার হয়। জরায় মুখের ক্যানসার আটকানোর🃏 টিকা নিলে এবং প্রতিরোধ বিধি সম্পর্কে সচেতন থাকলে অনেকটাই আটকানো যায় এই রোগ। অনেক বেশি সচেতনতা আশা করছেন চিকিৎসকরা। বিশ্বজুড়ে জরায়ু মুখের ক্যানসারে মৃতদের ২৫ শতাংশই ভারতের।
(আরও পড়ুন: সার্ভিক্যাল ক্যানসার🍸ে প্রয়াত পুনম পান্ডে! কেন হয় এই ক্যানসার, ﷺএই রোগে কাদের ঝুঁকি বেশি)
সাধারণত ৩৮ থেকে ৪২ বছর বয়সীরা এই রোগে আক্রান্ত হন। তবে নির্দিষ্ট কোনও বয়সসীমা নেই। অনেক ক্ষেত্রে ৬০ বছরের পরবর্তীকালেও এই রোগ দেখা যেতে পারে। গতবছর শ্রীরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া সের্ভাভ্যাক সংস্থা এইচপিভি টিকা বাজারে নিয়ে এসেছিল, দুটি ডোজ মিলিয়ে যার দাম ছিল প্রায় চার হাজার টাকার কাছাকাছি। অন্যদিকে আমেরিকার বহুজাতিক সংস্থা একটি এইচটিভি টিকা ভারতে নিয়ে আসে, যার এক একটি ডোজের দাম ১০ হাজার টাকার মত, যা সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই রোগ প্রতিরোধে জনসাস্থ্যের দিক থেকে গণটিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি, যা করতে হবে কিশোরী বয়সেই। কেন্দ্রীয🌟় সরকারের এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হয় এবং জরায়ু-মুখ ক্যানসারের মতো রোগকে প্রতিহত করা যায়, তা সময়ই বলবে।