বিমানবন্দরের ফুড কোর্টেই আচমকা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন বৃদ্ধ। দেবদূতের মতোই সেখানেই ছিলেন জয়পুরের বাসিন্দা ডাঃ প্🌃রিয়া। সিপিআর দিয়ে ওই ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধের জীবন বাঁচিয়েছেন তিনি। এই ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বুদ্ধ💙ির প্রশংসিত হচ্ছে। ডাঃ প্রিয়ার কথায়, 'প্রথমত, কেউ ঈশ্বরকে প্রতিস্থাপন করতে পারে না। আমরা কেবল ঈশ্বরের প্রতিনিধি, আমরা তাঁর কৃপা এবং তাঁর সংকেতে যে কোনও কাজ করতে পারি।'
সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন হয়ে ওঠার পর, আজমির রেলওয়ে হাসপাতালের সিনিয়র ডিএমও ডাঃ প্রিয়া, এদিন প্রথমবারের মতো মিডিয়ার সামনে এসেছেন। জানিয়েছেন, বৃদ্ধকে পড়ে যেতেܫ দেখে আমরা তাঁকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গিয়েছিলাম। তাঁর পালস সাড়া দিচ্ছিল না। এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসও ไবন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে আমি সিপিআর দিয়ে তাঁর জীবন বাঁচাতে পেরেছি।
আসল ঘটনাটা কী ঘটেছিল
ভিডিয়ো অনুযায়ী, বৃদ্ধের চোখ না খোলা পর্যন্ত চিকিৎসক তাঁকে সিপিআর দিচ্ছিলেন। ডক্টর প্রিয়া জানিয়েছেন, এদিন অমরনাথ যাত্রা থেকে ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী রমাকান্ত গয়ালও। আরও একজন ডাক্তার দম্পতি, ডাঃ উমেশ এবং ডাঃ ডলি বনসালও সেখানে ছিলেন। তিনি আরও বলেছেন, চিকিৎসা🎃র পেশাকে ঈশ্বরের সমান সম্মান দেওয়া হয়। আমিও আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের একটি ফ্লাইট ছিল এবং আমরা সবাই অমরনাথ যাত্রা থেকে ফিরছিলাম। আমাদের ফ্লাইট দেড় ঘণ্টা দেরিতে ছিল। তাই স্টলে আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম, এমন সময়েই আমরা ওই বৃদ্ধকে দেখেছিলাম, তাঁর কোনও সাড়া ছিল না। এগিয়ে এসেছিলেন বৃদ্ধের জীবন বাঁচাতে। পাঁচ মিনিট সিপিআর 🦄দিয়ে বৃদ্ধকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন এই মহিলা চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: (Barcelona Facts: পর্যটকদের তাড়িয়ে দ🧸িচ্ছে বার্সেলোনা! ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের এমন পদক্ষেপের কারণ কী)
এরপর, বৃদ্ধ এক♌টু স্বাভাবিক হতেই এয়ারপোর্টের স্টাফদের ডাকা হয়েছিল, তাঁর স্ত্রীকে ডাকাꦓ হয়েছিল। এরপর এয়ারপোর্টের পার্সোনাল স্টাফরা ওখানে এসে, তাঁকে চিকিৎসা পরিষেবার জন্য নিয়ে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে তাঁর বাইপাস সার্জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লি বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার বাসুদেব দেবনানি সহ অনেক সেলিব্রিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি পোস্ট করে রাজস্থানের এই কন্যার প্রশ🌠ংসা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বুদ্ধিমত্তার প্রচুর প্রশংসা করা হচ্ছে। একজন ব্যবহারকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন- 'প্রশংসনীয়।' অন্য ব্যবহারকারী আবার এই মহিলা ডাক্তারকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন। আরও ব্যবহারকারী লিখেছেন- এই মহিলা চিকিৎসককে প্রণাম।