কলকাতার পুজোর ভিড় পোষায় না অনেকেরই। দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখা ভালো লা𒐪গে না তাঁদের। বরং একটু ফাঁকা-ফাঁকায় সময় কাটাতে মন চায় দুর্গামায়ের সঙ্গে। যদি আপনিও সেই দলেই পড়েন তাহলে এবারের পুজোয় ঘুরে আসতে পারেন মহিষাদল রাজবাড়ি। এক বা দু' রাত থেকে দেখতে পারবেন রাজবাড়ির পুজো। একদম অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা হবে নিসন্দেহে।
একাধিক রাজবাড়ি এখন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আভিজাত্য আর ইতিহাস যেন হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়ে থাকে এখানে। প্রাচীন আমলের নাটমন্দির, উঁচু উ🦩ঁচু পালঙ্ক, শ্বেতপাথরের টেবিল, ভারী কꦜাঁসার থালাগ্লাস-- সব মিলিয়ে একদম আলাদা একটা ব্যাপার।
মহিষাদল রাজবাড়ির ইতিহাস:
তখন বাংলায় মুগল রাজ। আকবরের সেনাবাহিনীতে উচ্চপদে আসীন ছিলেন জনার্দন উপাধ্যায়। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। ব্রাহ্মণ ব্যবসায়ী। আর সেই কাজেই নদীপথে এসেছিলেন মহিষাদলের কাছে গেঁওখা💮লিতে। নদীমাতৃক বাংলার শোভায় মুগ্ধ হয়ে এখানে বসবাসেরর ইচꦏ্ছে হয়। তৎকালীন রাজা কল্যাণ রায়ের থেকে কিনে নেন মহিষাদলের রাজত্ব।
পরে বংশ পরম্পরায় রাজবাড়ির আয়তন আরও বাড়ত𝓰ে থাকে। তিনটি প্রাসাদ নিয়ে তৈরি এই রাজবাড়ি। প্রথম প্রাসাদের নাম রঙ্গিবসনা। দ্বিতীয়টির নাম লালকুঠি এবং তৃতীয়টির নাম ফুলবাগ। তবে সব প্রাসাদে পর্যটদের প্রবেশাধিকার নেই। কেবল মাত্র ফুলবাগেই পর্যটকরা থাকতে দেওয়া হয়। প্রায় আড়াইশো বছরের প্রাচীন মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। রাজা আনন্দলাল উপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর আনুমানিক ১৭৭৮ সালে রানি জানকী দেবী প্রচলন করেন এই ♛পুজোর। রাজবাড়ির পুজোটি হয় রঙ্গিবসনার দুর্গামন্দিরে। পুজোর দিন এখানে ঢোকার অনুমতি পায় অতিথিরা।
ডাকের সাবেকি সাজে দেখা যায় মা-কে। মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয় রথের পরের দিন থেকেই। বৈষ্ণব মতে মাকে পুজো করা হয়। মহালয়ার পরেরদিন রাজবাড়ির কূলদেবতা মদন গোপাল জিওর মন্দির থেকে ঘটোত্তলনের মধ্যে দিয়ে পুজোর সূচনা হয়। আগে এই রাজবাড়িতে প্রতি পদে ১ মন চালের ভাত রান্না হত। রোজ সেই পরিমাণ বাড়ত ধাপে ধাপে। নবমিতে হত ৯ মন চাল রান্না। সন্ধিপুজোতে দাগা হত কামান। দশমিতে রূপনারায়ন নদীর ধারে বের হতো শোভাযাত্রা। আরও পড়ুন: বর্ষায় ঘুরে 🎶আসুন ভারতের নায়াগ্রা থেকে, এই ঝরনার প্রেমে পড়তে আপনিই বাধ্য