গ্রীষ্মে খাদ্যতালিকায় দই রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। সুস্থ থাকার জন্য দইয়ের কোনও বিকল্প নেই। শরীর ঠܫান্ডা করা থেকে হজম ক্ষমতা বাড়ানো— দইয়ের অনেক গুণ। কিন্তু জানেন 🍎কি দইয়ের সঙ্গে কিশমিশ মিশিয়ে খেলে কী হয়?
দু’ভাবে দইয়ের সঙ্গে কিশমিশ খেতে পারেন।
- দইয়ে কিশমিশ মিশিয়ে নিয়ে খান।
- দই পাতার সময়ে তাতে কিশমিশ দিয়ে রাখুন।
কেন এটি শরীরের নানা উপকার করে?
দইয়ে রয়েছে প্রচুর প্রোবায়োটিকস। আর কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তার সঙ্গে নানা ধরনের ভিটꦺামিন। গরমের দিনে পেটের সমস্যা লেগেই থাকে। দই আর কিশমﷺিশের মিশ্রণ এই সমস্যার অনেকগুলিকেই জব্দ করে। তারা পাশাপাশি আরও নানা রোগবালাই দূরে রাখে এটি।
কীভাবে তৈরি করবেন দই আর কিশমিশের মিশ্রণ?
দই পাতার সময়ে তার মধ্যে কয়ে🍃কটি কিশমিশ দিয়ে দিতে পারেন। তাতেই বেশি উপকার পাওয়া যাবে। একান্ত সম্ভব না হলে, দই খাওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে, তার মধ্যে ৮-১০টি কিশমিশ দিয়ে নিন। তাতেও উপকার পাবেন।
কোন কোন উপকার করে এই দই-কিশমিশ?
- গরমে খাবার হজম করতে অসুবিধা হয়। পেটের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এই সমস্যা কমে যেতে পারে এই দই-কিশমিশের মিশ্রণ খেলে।
- এই মিশ্রণ ক্যালশিয়ামে ভরপুর। দাঁত ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। মাড়ির রক্তপাত কমায়।
- একটু বয়স বাড়লেই গাঁটের ব্যথায় নাজেহাল হন অনেককেই। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় দই-কিশমিশ রাখতে পারেন। বাতের ব্যথায় উপশম পাবেন।
- কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এই মিশ্রণ।
- যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই মিশ্রণ কাজে লাগতে পারে। কারণ এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই মিশ্রণের জুড়ি নেই। এটি নিয়মিত খেলে পেট ভর্তি থাকে। খিদে কম পায়। ওঝন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- চুলের রুক্ষতা দূর করতে পারে এই মিশ্রণ। পাকা চুলের সমস্যাও কমাতে পারে এটি।
- গরমে যাঁদের ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা হয়, তাঁরা এই মিশ্রণ খেলে উপকার পেতে পারেন।