অতীতে 🎃এই ভাইরাসটি বিপুল পরিমাণে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। তার পরে দীর্ঘ দিন এটি ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি এই ভাইরাস ফিরে এসেছে। এবং তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা। এই ভাইরাসের নাম মাংকিপক্স। সম্প্রতি এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, এমন একজনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
কী এই মাংকিপক্স?
সংক্র♍ামক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চারু দত্ত অরোরা সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, এমনিতে এই মাংকিপক্স একটি বিরল রোগ। এর সঙ্গে স্মলপক্সের মিল রয়েছে। তবে স্মলপক্স যেমন ভয়াবহ হয়ে উঠত, এটি তা নয়। বাঁদরের থেকে এই পক্স ছ🐠ড়িয়ে পড়েছিল বলে এমন নামকরণ।
তবে অ্য মহাদেশগুলির তুলনায় আফ্রিকায় এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা গিয়েছিল। এবারেও ইংল্যান্ডের য𒉰ে ব্য়ক্তি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি সম্প্রতি আফ্রিকা থেকে ফিরেছেন বলেও জানা গিয়েছে।
মাংকিপক্সের উপসর্গ কী কী:
- জ্বর
- মাথাব্যথা
- পেশির ব্যথা
- পিঠে ব্যথা
- ক্লান্তি
- কাঁপুনি
এই ধরনের উপসর্গ তো ﷺথাকেই, তার সঙ্গে পক্সের মতো গোটা বেরোয় সারা গায়ে। প্রথমে মুখ থেকে বেরোতে শুরু করে। তার পরে সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়ে। ১ থেকে ৩ দিন লাগে গোটা বা ফোসকাগুলি বড় হতে। ১৪ দিন ꦯমতো লাগে সেগুলি শুকোতে।
কীভাবে ছড়ায় এই মাংকিপক্স:
তিনভাবে এই অসু💛✤খ ছড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
- অন্য প্রাণী থেকে মানুষে: সংক্রমিত প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে এটি ছড়াতে পারে। সংক্রমিত প্রাণীর ক্ষত, কামড়, লালা থেকে মানুষ আক্রান্ত হতে পারে এতে। শুধু তাই নয়, সংক্রমিত কোনও প্রাণীর মাংস ঠিক করে সময় নিয়ে রান্না না করা হলেও, তা থেকে ছড়াতে পারে এই অসুখ।
- মানুষ থেকে মানুষে: খুবই বিরল। তবু হাঁচি-কাশি বা লালারস থেকে ছড়াতে পারে।
- বস্তু থেকে মানুষে: সাধারণত সংক্রমিত মানুষের বিছানা বা জামাকাপড় থেকে অন্য কেউ আক্রান্ত হতে পারেন।
কীভাবে বোঝা যাবে মাংকিপক্স কি না:
চ🧔িকিৎসক বলছেন, উপসর্গগুলি দেখে রক্ত পরীক্ষা করলে বা লিম্ফ নোডেরꦍ বায়োপসি করলে এই রোগ টের পাওয়া যায়।
কীভাবে এই রোগ থেকে বাঁচবেন:
চিকিৎসক কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার কথা বলছেন।
- হাত পরিষ্কার রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বার বার ভালো করে হাত ধুতে হবে।
- ভালো করে রান্না না করা মাংস খাবেন না।
- সংক্রমিত প্রাণীদের থেকে দূরে থাকুন।
- কেউ আক্রান্ত হলে তাঁদের জিনিসপত্র ব্যবহার করার আগে সচতেন হন।
চিকিৎসকের কথায় এই রোগ থেকে বাঁচার সপ্ষ্ট কোনও উপায় নেই। তবে যাঁদের পক্সের টিকা নেওয়া থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই রোগ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করার আ𓆏শঙ্কা কম।