দুপুরের হেলানো রোদ্দুর আর কꦕুয়াশার ঘেরা সকাল পেরিয়ে বাংলাদেশের বাতাসে লেগেছে বসন্তের ছোঁয়া। বসন্ত আগমনের আগেই অবশ্য চলে আসে ভ্যালেন্টাইনস ডে। বিশ্বজুড়ে এই সময়ে প্রেমের উদযাপনে মেতে ওঠেন বহু মানুষ। কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারিই কেন প্রেম দিবস? প্রেমের সঙ্গে ভ্যালেন্টাইনের সম্পর্কই বা কী? ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যাবে রক্তাক্ত এক ইতিহাস বহন করছে ভ্যালেন্টাইনস ডে দিনটি। ২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে একজন খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক বসবাস করতেন। আর সেই সময় রোমতে নিষিদ্ধ ছিল খ্রিস্ট ধর্🙈মের প্রচার। রাজার আদেশ অমান্য করেই খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের কাজে নামেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন।
(আরও পড়ুন: প্রিয়জন🃏কে এই ভ্যালেন্টাইনস উইকেই জানিয়ে ফেলুন মনের কথা! জেনে নিন সেরা বার্তা)
কিন্তু রোমের সিংহাসনে বসা সম্রাট ক্লডিয়াস তা মেনে নিতে পারেননি। ক্লডিয়াস বিশ্বাস করতেন যে, প্রেম, বিয়ে ইত্যাদি করলে পুরুষের শক্তি এবং বুদ্ধি কমে যায়। তার কর্মচারি কিংবা সৈন্য সকলেরই নিষেধ ছিল বিয়ে কিংবা সম্পর্কে জড়ানো▨। সেই সময়ের রোমে খ্রিস্টধর্মের প্রচারও নিষিদ্ধ করেন সম্রাট। কিন্তু নিয়মের রাজত্বে কেউ কেউ থাকেন নিয়ম ভাঙার জন্যই। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন রাজার এই আদেশের বিরোধিতা করলেন সোচ্চারে। স্বভাবতই রাজদ্রোহের দায়ে কারাবন্দি হলেন ক্লডিয়াস। কিন্তু বন্দি জীবনেও মানুষের সেবা তাকে ফের জনপ্রিয় করে তুলল। কারাগারে থাকাকালীন এক মহিলাকে চিকিৎসা কর🦋ে তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন পেশায় ডাক্তার ভ্যালেন্টাইন। ফের রাজার রোষানলে পড়েন তিনি। ফলে ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেন নির্দয় সম্রাট ক্লডিয়াস। সেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের স্মরণেই আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হয় 'ভ্যালেন্টাইনস ডে'। তবে এই উদযাপনের শুরু ইউরোপ থেকেই।
(আরও পড়ুন: প্রেমের সপ্তাহে কবে কোন দিন? জেনে 🗹নিন রোজ থেকে কিস ডে পর্যন্ত সম্পূর্ণ তালিকা ও অর্থ)
লুপারকেলিয়া নামে এক আঞ্চলিক উৎসবের প্রচলন ছিল রোমে। এটি ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪-১৫ তারিখ নাগাদ অনুষ্ঠিত হত৷ লুপারকেলিয়া উৎসবটিকে বসন্তের আগমন হিসেবেই ধরা হত ৷ এই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে একটি বক্স থেকে কোনও ছেলে বা মেয়েকে একটি নাম লেখা কাগজ তুলতে ൲হত ৷ এই ভাবেই একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতেন ছেলে-মেয়ের দল। এমনকি তারা বিয়েও করতেন ৷ কালক্রমে এই উৎসব আর সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগ মিলেমিশে আজকের ভ্যালেন্টাইনস ডে’র রূপ পেয়েছে।